টান টান উত্তেজনার ম্যাচে বল হাতে লক্ষ্ণৌকে জেতালেন আবেশ

ছবি: বল হাতে লক্ষ্ণৌকে জেতালেন আভেষ খান, ফাইল ফটো

১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ফেভারিট ছিল রাজস্থান। ওপেনিং জুটিতে ৮.৪ ওভারে দলটি তোলে ৮৫ রান। অভিষেকে ২০ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশি। এইডেন মার্করামের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। একশ রান স্পর্শ হওয়ার আগে ফিরে যান নিতিশ রানাও। এ দিন সাত রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
‘স্টার্ক নয়, আবেশ খান হতে চাই’
৪ ঘন্টা আগে
তারপর ইয়াশভি জায়সাওয়াল ও রিয়ান পরাগ মিলে ৬২ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৭৪ রান করা জায়সাওয়ালকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন আবেশ। একই ওভারের শেষ বলে ২৬ বলে ৩৯ রান করা রিয়ান পরাগকেও লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
শেষ ওভারে স্কয়ারলেগে ফ্লিক করার আগে ৭ বলে ১২ রান করেন হেটমায়ার। ধ্রুব জুরেল পাঁচ বলে ছয় রান করেও শেষদিকে আর স্ট্রাইক পাননি। তিন বলে তিন রান অপরাজিত থাকেন দুবে। ৩৭ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়ে লক্ষ্ণৌর সেরা বোলার আবেশ। দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরাও হন তিনি।

স্যামসনকে নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন দ্রাবিড়
১৯ এপ্রিল ২৫
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মনমতো হয়নি লক্ষ্ণৌর। দলীয় ১৬ রানে মিচেল মার্শের উইকেট হারায় দলটি। ছয় বলে চার রান করে জফরা আর্চারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩০ গজের মধ্যেই ধরা পড়েন এই অস্ট্রেলিয়ান। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচটি নেন শিমরন হেটমায়ার।
নিকোলাস পুরানও এ দিন সুবিধা করতে পারেননি। আসরজুড়ে মার্শের মতোই দারুণ ফর্মে থাকা পুরান আট বলে ১১ রান করে সন্দীপ শর্মার বলে পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন। এর একটু পর ৯ বলে তিন রান করা ঋষভ পান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে।
৫৪ রানে তিন উইকেট হারানো লক্ষ্ণৌকে কক্ষপথে ফেরান এইডেন মার্করাম এবং আয়ুষ বাদোনি। দুজন মিলে ৭৬ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। তার স্লোয়ারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন মার্করাম। ফেরার আগে করেন ৪৫ বলে ৬৬ রান।
এর এক ওভার পর বাদোনিকে ফেরান তুষার দেশপান্ডে। ডিপ কভারে ক্যাচ তোলার আগে ৩৪ বলে ৫০ রান করেন বাদোনি। এরপর ডেভিড মিলারের আট বলে সাত এবং আব্দুল সামাদের ১০ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ১৮০ রানে থামে লক্ষ্ণৌ। সন্দিপের করা শেষ ওভারে চারটি ছক্কার মাধ্যমে ২৭ রান নেন সামাদ। এই ওভারই মূলত শেষদিকে পার্থক্য এনে দেয়।