‘অপরাজেয়’ দিল্লির নায়ক রাহুল, ঘরে আবারও বেঙ্গালুরুর হার

ছবি: ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে জেতালেন লোকেশ রাহুল ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবস, বিসিসিআই

আরেক ব্যাটার স্টাবস অন্যপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৩৮ রানে। তাদের দুজনের ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে দিল্লি। আইপিএলের চলতি আসরে একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত হারেনি তারা। চার ম্যাচের সবকটিতে জিতেছেন অক্ষররা। বিপরীতে অ্যাওয়েতে তিন জয় পেলেও ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ৫ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে রয়েছেন রজত পাতিদার-বিরাট কোহলিরা।
‘এটা আমার মাঠ, যে কারো থেকে বেশি চিনি’
১১ এপ্রিল ২৫
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১৬৩ রান তাড়ায় দিল্লির শুরুটা হয়েছে এলোমেলোভাবে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ইয়াশ দয়ালের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। তবে টপ এজ হওয়ায় মিড অফে পাতিদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় চোট কাটিয়ে ফেরা সাউথ আফ্রিকার ওপেনারকে। পরের ওভারে আউট হয়েছেন জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ম্যাকগার্ক।
টপ এজ হওয়ায় সোজা উইকেটকিপারের মাথার উপরে উঠে যায়। অনেকটা উপরে উঠলেও দারুণ দক্ষতার সঙ্গে ক্যাচ দিয়েছেন জিতেশ শর্মা। ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে তিনে নামা অভিষেক পোরেলও সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ভুবেনশ্বরের বলে জিতেশের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে গেছেন তিনি। অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা ফলপ্রসূ হয়নি। রাহুল একপ্রান্তে টিকে থাকলেও সুহাশ শর্মার উপর চড়াও হতে গিয়ে উইকেট দিয়ে গেছেন।

ডানহাতি লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় লং অফে টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ রান করা অক্ষর। তবে স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির রান বাড়াতে থাকেন রাহুল। সেই সঙ্গে দ্রুত রানও তুলতে থাকেন ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। টানা দুই ম্যাচেই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন রাহুল।
নায়ারের ঝড় থামিয়ে কার্ন শর্মা-স্যান্টনারে মুম্বাইয়ের দিল্লি জয়
৫৮ মিনিট আগে
হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন তিনি। জশ হেজেলউডের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে এক ছক্কা ও তিন চারে ২২ রান এনেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন স্টাবসও। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন অবিচ্ছিন্ন ১১১ রান। পঞ্চম উইকেটে দিল্লির সবচেয়ে বড় জুটি। রস টেলর ও জেপি ডুমিনির ১১০ রানের জুটির রেকর্ড ভেঙেছেন রাহুল ৯৩ রানে অপরাজিত থাকা রাহুল ও ৩৮ রান করা স্টাবস।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছিলেন ফিল সল্ট। ইংলিশ ওপেনারের সঙ্গে কোহলির জুটিতে প্রথম তিন ওভারেই ৫৩ রান তোলে বেঙ্গালুরু। তবে একটু পরই জুটি ভাঙে তাদের দুজনের। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন ১৭ বলে ৩৭ রান করা সল্ট। তিনে নেমে দ্রুতই ফিরে গেছেন দেবদূত পাডিকাল। ভালো শুরুর পর ২২ রানে ফিরেছেন কোহলিও।
দলের রান একশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোনও। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও পাতিদার মিলে বেঙ্গালুরুকে খানিকটা এগিয়ে যেতে চাইলেও জুটি বড় হতে দেননি কুলদীপ যাদব। বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ২৫ রান করা পাতিদার। শেষের দিকে ডেভিডের ২০ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু। দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ ও ভিপরাজ নিগাম।