নূর আহমেদ চেন্নাইয়ের ‘এক্স-ফ্যাক্টর’: রুতুরাজ

ছবি: মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ১৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন নূর আহমেদ, ফাইল ফটো

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মাত্র ১৮ রান খরচায় চার উইকেট নেন নূর। মুম্বাইয়ের মিডল অর্ডারকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেই দেননি তিনি। সূর্যকুমার যাদব, তিলক বার্মা, রবিন মিনয এবং নামান ধিরকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
রাচিনের ব্যাটে মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাইয়ের শুভসূচনা
২৩ মার্চ ২৫
তার অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান তুলে থামে মুম্বাই। জবাবে ওপেনিং পজিশন ছেড়ে তিনে নামা রুতুরাজের ২৬ বলে ৫৩ এবং রাচিন রবীন্দ্রর ৪৫ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংসে ম্যাচটি চার উইকেটে জিতে নেয় চেন্নাই।
ম্যাচ শেষে রুতুরাজ বলেন, 'আমি আউট হওয়ার পরপরই (ম্যাচের মোড় ঘুরে যাচ্ছিল)। মাঝে মাঝে এমন কিছু ম্যাচ থাকে যেগুলো খুব কাছাকাছি চলে আসে কিন্তু জয়ী দলে থাকাটা আনন্দের ব্যাপার। আমি তিন নম্বরে ব্যাটিং করছি, যা আমাদের নতুন দলের ভারসাম্য বজায় রাখবে। রাহুল ত্রিপাঠিও ওপেনার হিসেবে আক্রমণাত্মক হতে পারে। আমি উভয় পজিশনে খেলতে পারি।'

স্পিনারদের প্রশংসায় তিনি আরও বলেন, 'আমাদের স্পিনাররা ঠিকঠাক বল করেছিল। নিলামের পর চিপকে তাদের একসাথে বোলিং দেখে আমরা সত্যিই উত্তেজিত ছিলাম। খলিল গত ২-৩ বছর ধরে ভালো করছে, সে অভিজ্ঞ। নূর একজন এক্স-ফ্যাক্টর এবং তাকে দলে পেয়ে ভালো লাগছে। ধোনি এখনও একই রকম আছে, সে এই বছর আরো ফিট এবং এই বছর নেটে আরও ছক্কা মারছে।'
ম্যাচটিতে দলীয় ৩৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ৮৭ রানে নিজেদের চতুর্থ উইকেট হারায় মুম্বাই। ২৬ বলে ২৯ রান করা সূর্যকুমারকে তড়িৎ বেগে স্টাম্পিং করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নূরের সেটাই প্রথম শিকার। এরপর মুম্বাই ১১৮ রানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে টানা আরও তিন উইকেট নেন তিনি।
ম্যাচসেরার পুরষ্কার নিতে এসে নূর বলেন, 'সারা বিশ্বে খেলতে পারাটা দারুণ লাগছে কিন্তু সিএসকে-র হয়ে খেলতে পারাটা বিশেষ কিছুই। মাঝে মাঝে মনে হতো ওরা আমাকে নিচ্ছে না (একাদশে), তবে আমি আমার বোলিংয়ে মনোযোগ দিচ্ছিলাম। আমার প্রিয় ছিল সূর্যের উইকেট, মাহি ভাইয়ের স্টাম্পিং ছিল অসাধারণ। স্টাম্পের পিছনে মাহি ভাই থাকাটা দারুণ।'