promotional_ad

ইশানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রাজস্থানকে সহজেই হারাল হায়দরাবাদ

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছেন ইশান কিশান, বিসিসিআই
অভিষেক শর্মা ফিরলেও রাজস্থান রয়্যালসের পেসারদের উপর তাণ্ডব চালাতে থাকেন ট্রাভিস হেড। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলেছেন ইশান কিশানও। হাফ সেঞ্চুরিয়ান হেড ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২৮৬ রানের পুঁজি এনে দিয়েছেন তিনি। হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেকে নিজেও করেছেন বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি। ইশান, হেড, নীতিশ রেড্ডি ও ক্লাসেনদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান পায় হায়দরাবাদ।

promotional_ad

জিততে হলে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হতো রাজস্থানকে। অথচ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে যশস্বী জয়সাওয়াল ও রিয়ান পরাগের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। সাঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুরেল শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে শতরানের জুটি গড়লেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসেনি। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে শেষের দিকে শিমরন হেটমায়ার ও শুভাম দুবে ক্যামিও ইনিংস খেললেও ২৪২ রানের বেশি করতে পারেননি রাজস্থান। আইপিএলের সবশেষ আসরে ফাইনালে খেলা হায়দরাবাদের এবারের মৌসুমটা হয়েছে ৪৪ রানের জয়ে।


আরো পড়ুন

‘অস্বীকার করব না, চাপে ছিলাম’, সেঞ্চুরি নিয়ে ইশান

২৪ মার্চ ২৫
হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেন ইশান কিশান, ফাইল ফটো

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের জয়ের জন্য ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মোহাম্মদ শামিকে দুই চার ও এক ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন স্যামসন। তবে পরের ওভারেই হোঁচট খায় রাজস্থান। সিমারজিৎ সিংয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে পয়েন্টের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন জয়সাওয়াল। দারুণ শটে ঠিকঠাক টাইমিং করলেও পয়েন্ট দাঁড়িয়ে লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন অভিনব মনোহর।


একই ওভারে পরাগের উইকেটও নিয়েছেন সিমারজিৎ। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে মিড অনের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রাজস্থানের অধিনায়ক। এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। পাওয়ার প্লে শেষের আগে নীতিশ রানাও ফিরেছেন দ্রুতই। শামির বলে লিডিং এজ হয়ে মিড অফে কামিন্সকে ক্যাচ দিয়েছেন। তিন উইকেট হারানোর পরও পাওয়ার প্লেতে ৭৭ রান তুলেছে রাজস্থান। 


চতুর্থ উইকেটে দ্রুত রান তোলার সঙ্গে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে রাজস্থানকে এগিয়ে যেতে থাকেন স্যামসন ও জুরেল। দারুণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্যামসন। ২০২০ সালের পর আইপিএলের প্রতি আসরেই নিজের প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার। পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন জুরেলও। সিমারজিৎকে ছক্কা মেরে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তরুণ এই ব্যাটার। একই ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে জুটির সেঞ্চুরি করেন তারা দুজন। ঝড় তোলা স্যামসনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হার্শাল প্যাটেল।



promotional_ad

ডানহাতি পেসারের আগের বলেই এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন স্যামসন। পরের স্লোয়ার ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে হেনরিখ ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। পরের ওভারে আউট হয়েছেন জুরেল। অ্যাডাম জাম্পার বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন ইশানের হাতে। জুরেলের ব্যাট থেকে এসেছে দুইশ স্ট্রাইক রেটে ৩৫ বলে ৭০ রান। শেষের দিকে হেটমায়ার ৪২ এবং দুবে ৩৪ রান করলেও রাজস্থানের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।


আরো পড়ুন

বিধ্বংসী ব্যাটিং মন্ত্রে হেড-অভিষেকেই ভরসা হায়দরাবাদের

২২ মার্চ ২৫
ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মাতেই আস্থা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের, ফাইল ছবি

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন অভিষেক ও হেড। যদিও চতুর্থ ওভারে তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন মাহিশ থিকশানা। ডানহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কভার দিয়ে খেলতে গিয়ে জয়সাওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন ২৪ রান করা অভিষেক। বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলেও রান তোলার গতি থামাননি হেড। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন ইশান। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তোলে হায়দরাবাদ। পাওয়ার প্লে শেষে ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হেড। 


যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তুষার দেশপাণ্ডের ফুলার লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলা হেড। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইশানও। জফরা আর্চারের বলে ছক্কা মেরে হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেকেই ২৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। চারে নেমে সমানতালে চার-ছক্কা মারতে থাকেন নীতিশও। ১৪.১ ওভারে দুইশ ছুঁয়ে তিনশ রানের স্বপ্ন দেখতে থাকে হায়দরাবাদ।


যদিও সেই ওভারেই আউট হয়েছেন নীতিশ। থিকশানার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে জয়সাওয়ালকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বলে ৩০ রান করা এই ব্যাটার। ১৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ক্লাসেন ফিরেছেন সন্দীপ শর্মার বলে। আউট হয়ে ফেরার আগে ৫৯৪ বলে আইপিএলে ১ হাজার রান ছুঁয়েছেন সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার। ক্লাসেনের চেয়ে কম বলে আইপিএলে ১ হাজার রানের কীর্তি আছে আন্দ্রে রাসেলের (৫৪৫ বল)।



ক্লাসেন ফেরার পর মাত্র ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ইশান। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হয়েছেন অনিকেত ভার্মা ও মনোহর। তারা দুজন আউট না হলে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পুঁজির রেকর্ড গড়তে পারতো হায়দরাবাদ। যদিও ইশানের অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংসে ২৮৬ রান তোলে তারা। নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুঁজি। এমনকি তালিকার তিনে থাকা দলের নামও হায়দরাবাদ। তাদের এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ের দিনে ৪ ওভারে ৭৬ রান দিয়েছেন আর্চার। যা আইপিএলের ইতিহাসে ফেরার ম্যাচে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball