পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ ওঠার মতো বেশকিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এবারের বিপিএলে। এসবের সঙ্গে যুক্ত আছে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম। আসরজুড়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি একাই বহু অনিয়মের জন্ম দিয়েছে।

আরো পড়ুন

তামিমের ফোনেই বিপিএলে আফ্রিদি

২৭ ডিসেম্বর ২৪

একইসঙ্গে এবারের বিপিএলে যুক্ত হয়েছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। সব মিলিয়ে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ আছে দশ ক্রিকেটারের নামে। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিসিবির দূর্নীতি দমন সংস্থা (আকসু) কোনো ক্রিকেটারের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও প্রকাশ করেনি। এসব বিষয়ে বিসিবিকে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান মিজানুর।

তিনি বলেন, ‘এটা কোনো কথা হতে পারে না। আমরা চাচ্ছি যে এটার বিচার হোক ও তারা শাস্তি পাক। এটা যদি না করেন তাহলে দেশের ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনাকে এর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতেই হবে, সে যত বড় মানের খেলোয়াড়ই হোক, যত বড় মানের ফ্র্যাঞ্চাইজিই হোক না কেন। এটার বিচার না হলে আমাদের মতো মানুষ থাকবে না। একেবারে সোজা কথা। কারণ আমাদের বাড়ি বিক্রি করে খেলা চালাতে হয়, আর অন্যরা খেলা চালায় ফিক্সিং করে।’

‘যা হয়েছে এমনটা হওয়া উচিৎ হয়নি। কাউকে দল দেওয়ার সময় দেখা উচিৎ ছিল তার সামর্থ্য আছে কি না। এটা নিয়ে আসলে কথা বলারও ইচ্ছা নেই, খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। এর প্রভাব কিন্তু ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। বরিশালের কাছে কোনো বিদেশি খেলোয়াড় অন্তত অগ্রিম টাকা চায়নি। এবার চেয়েছে। বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

আরো পড়ুন

সময়মতো পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম: আলী

৪ ফেব্রুয়ারি ২৫

এতো অনিয়ম দেখে চলে যাওয়ার হুমকি দিলেও পরবর্তী বিপিএলে খেলার সুপ্ত আকাঙ্খা আছে বরিশালের চেয়ারম্যানের। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই বৈঠক করেছেন তারা। বিসিবির পক্ষ থেকে আশা পেয়েছেন দারুণ কিছুর।

মিজানুর আরও বলেন, ‘এটা নির্ভর করছে কিছু বিষয়ের ওপর। তবে এই আসরে আমরা যথার্থ সম্মান পেয়েছি, বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, সময় দিয়েছে। আমরা কিছু আশ্বাসও পেয়েছি। মানুষ কাজ করতে গেলে পাঁচটির মধ্যে একটা ভুল হতেই পারে।’