রংপুরকে হটিয়ে শীর্ষে বরিশাল
ছবি: মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফরচুন বরিশালের জয়ের নায়ক তানভীর ইসলাম
এমন ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারলেন না ঢাকার ব্যাটাররা। দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ নবির সঙ্গে পেসার ফাহিম আশরাফের বোলিংয়ের মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। ম্যাচ জিততে খুব বেশি কিছু করতে হতো না বরিশালের। এমন ম্যাচেও জ্বলে উঠতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। পুরো মৌসুমে বরিশালের হয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি তিনি।
প্লে অফে চিটাগং, হার দিয়ে বিপিএল শেষ সিলেটের
৩ ঘন্টা আগে
মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ফিরে যাওয়ার আগে ৯ বলে ১৫ রান করেছেন হৃদয়। ডানহাতি ব্যাটার ফিরলেও তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালান মিলে ৯ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন। তামিম ২১ এবং মালান অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানের ইনিংস খেলে। ঢাকার বিপক্ষে পাওয়া জয়ে রংপুরকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বরিশাল। ১১ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১৮।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় ঢাকা। তানভীর ইসলামের অফ স্টাম্পের গুড লেংথ ডেরিভারিতে কাট করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন লিটন দাস। সবশেষ কয়েক ম্যাচে ছন্দে ফেরা ডানহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ১০ রানে। তিনে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি রিয়াজ হাসান।
আফগান ব্যাটারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন তানভীর। ছন্দে থাকলেও বরিশালের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। পেসার ফাহিম আশরাফের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন। তানজিদকে ফিরতে হয় মাত্র ৭ রানে।
সাব্বির রহমানও সুবিধা করতে পারেননি পাঁচে নেমে। মোহাম্মদ নবির বলে ছক্কা মারার চেষ্টায় সীমানার কাছে হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ডানহাতি ব্যাটার ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং জেপি কোটজে।
খুশদিলকে মিস করবে রংপুর
৪ ঘন্টা আগে
দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগে নাজমুল ইসলাম অপুও নিজের উইকেট দিয়ে গেছেন। ফাহিমের বলে বোল্ড হয়ে বিটন ফিরলে মাত্র ৫৫ রানে ৮ উইকেট হারায় ঢাকা। শেষ ব্যাটার হিসেবে পেরেরা আউট হলে ঢাকা গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৩ রানে। বরিশালের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর, নবি এবং ফাহিম। একটি উইকেট পেয়েছেন জেমস ফুলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা ক্যাপিটালস- ৭৩/১০ (১৫.৩ ওভার) (পেরেরা ১৫, লিটন ১০; তানভীর ৩/২, নবি ৩/৯, ফাহিম ৩/১৫)
ফরচুন বরিশাল- ৭৭/১ (৬.৩ ওভার) (তামিম ২১*, হৃদয় ১৫, মালান ৩৭; মুস্তাফিজ ১/১৬)
