প্লে-অফে বরিশাল, সিলেটের বিদায়
ছবি: ৫ উইকেট নিয়ে ফরচুন বরিশালের জয়ের নায়ক ফাহিম আশরাফ, ক্রিকফ্রেঞ্জি
নিজের শেষ ওভারে সুমন খানকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন ফাহিম। বিপিএলের প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেতে তার খরচ মাত্র ৭ রান। ফাহিমের এমন বোলিংয়ে ১১৬ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট। ফরচুন বরিশালকে জেতাতে বাকি কাজটা সেরেছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। বরিশালের অধিনায়ক তামিম ৫২ এবং মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বরিশাল।
খুলনার প্লে অফের পথ কঠিন করে রংপুরের আরও কাছে বরিশাল
২ ঘন্টা আগেতামিমদের আগে ৮ জয় নিয়ে প্লে-অফে উঠেছে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স রংপুর রাইডার্স। বরিশালের প্লে-অফে যাওয়ার দিনে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে সিলেট। ১০ ম্যাচে মাত্র দুই জয় পাওয়া আরিফুলদের জন্য শেষের দুটি ম্যাচ তাই কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। কারণ শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে যেতে পারবে না তারা। ২০২৩ সালে প্রথম মৌসুমে ফাইনাল খেলা সিলেট পরপর দুই মৌসুমে সেরা চারে উঠতে ব্যর্থ হলো।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন তামিম ও তাওহীদ হৃদয়। তবে তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি নাহিদুল। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে আরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৬ রান। বিপিএলের চলমান আসরে এখন পর্যন্ত নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি হৃদয়।
বিপিএলের সবশেষ দুই আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আলো ছড়ালেও বরিশালের হয়ে সেটি করতে পারছেন না। সবকটি ম্যাচে খেললেও এখনো হাফ সেঞ্চুরির দেখান পাননি। সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সিলেটের সঙ্গে প্রথম দেখায়। পাওয়ার প্লে শেষের আগে ডেভিড মালানও সাজঘরে ফিরেছেন। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো করলেও সবশেষ দুই ম্যাচে খুলনা টাইগার্স ও সিলেটের বিপক্ষে ব্যর্থ তিনি।
সুমনের বলে ফেরার আগে মালান করেছেন ৯ রান। তাদের দুজন ফেরার পর বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন তামিম ও মুশফিক। মাঝে উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকের ক্যাচ উঠলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি জাকের আলী অনিক। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। আর অধিনায়ক তামিম চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেছেন।
কর্নওয়ালের পর চোটে বিপিএল শেষ টপলির
২৬ জানুয়ারি ২৫দিনের শুরুতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন আহসান হাফিজ ভাট্টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন জাকের। জাকির হাসান, রনি তালুকদার, জর্জ মানজিরা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ফাহিম আশরাফ ৭ রানে ৫ উইকেট নিলে সিলেট অল আউট হয় ১১৬ রানে। এ ছাড়া বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জেমস ফুলার ও মোহাম্মদ নবি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১১৬/১০ (১৮.১ ওভার) (রনি ৫, আহসান ২৮, জাকের ২৪, তানজিম ১৩; ফাহিম ৫/৭)
ফরচুন বরিশাল- ১২০/২ (১৬ ওভার) (তামিম ৫২*, হৃদয় ৬, মালান ৯, মুশফিক ৪২*)