ফাহিম-রিপনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর মালানের ব্যাটে জিতল বরিশাল

ছবি: দারুণ ইনিংস খেলার পথে ডেভিড মালান, ক্রিকফ্রেঞ্জি

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ সতর্কভাবে করেন বরিশালের ওপেনাররা। চতুর্থ ওভারে ডেভিড মালানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তামিম। আলিস আল ইসলামের বলে শর্টে বল পাঠিয়ে দ্রুত এক রান নিতে এগিয়ে যান মালান, ফিল্ডার উসমানের হাতে বল থাকায় সেটি বোলিং প্রান্তে ফেরত পাঠান উসমান। এদিকে মালান তামিমকে ফেরত পাঠালেও রান আউটে কাটা পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৪ বলে আট রান আসে তার ব্যাটে।
বরিশালের শিরোপা জয়ে অবদান রাখতে পেরে আপ্লুত মালান
৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে তাওহীদ হৃদয়কে ফেরান খালেদ আহমেদ। তার চতুর্থ স্টাম্পের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে দাঁড়ানো পারভেজ হোসেন ইমনের মুঠোয় ক্যাচ দেন চার বলে এক রান করা হৃদয়। বলটি নিচের দিকে নুয়ে লুফে নেন ইমন। থার্ড আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে পর্যবেক্ষণ করে হৃদয়কে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভারে দুই উইকেটে ২৮ রান তোলে বরিশাল।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই ফিরে যান ১০ বলে ১১ রান করা মুশফিকুর রহিম। আরাফাত সানির বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে শরিফুলকে ক্যাচ দেন মুশফিক। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ডেভিড মালানের ব্যাটে ৮.৫ ওভারে পঞ্চাশ স্পর্শ করে বরিশাল। ১০ ওভারের মধ্যে ফিরে গেছেন ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। খালেদ আহমেদের চতুর্থ স্টাম্প তাক করা লেংথ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিসটাইমিং করেন মাহমুদউল্লাহ। লং অন থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচটি লুফে নেন গ্রাহাম ক্লার্ক।

এরপর মালান আর মোহাম্মদ নবির নৈপুণ্যে ম্যাচ জিতে বরিশাল। এবারের বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডেভিড মালান। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন গত ম্যাচে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকা এই ওপেনার। তার সঙ্গে ২১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন নবি। এর আগে ফাহিম আশরাফ এবং রিপন মন্ডলের নৈপুণ্যে চিটাগংকে ১২১ রানে থামায় বরিশাল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জাহানদাদ খানের ওভারে ১৫ রান নেয় চিটাগং।
এমন বিপিএলে বিদেশিরা কেউ বিনিয়োগ করবে না: মিজানুর
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
তৃতীয় ওভারে ফিরে যেতে হয় উসমানকে। রিপনের করা গুড লেংথের বলে সামনের পায়ে ভর করে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল অনেক উপরে তুলে দেন উসমান। এক্সট্রা কাভার অঞ্চল থেকে দৌড়ে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে দারুণভাবে ক্যাচটি লুফে নেন ফাহিম আশরাফ। উইকেটে এসে দুটি চার মারেন গ্রাহাম ক্লার্ক। যদিও সেই ওভারের শেষ বলে ফিরে যান ইনফর্ম এই ব্যাটারও। রিপনের ব্যাক অব দ্যা লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন ক্লার্ক। উসমান ১৩ বলে ১৯ এবং ক্লার্ক চার বলে আট রানে বিদায় নেন। রিপনের অসাধারণ তৃতীয় ওভারে আট রান আসে চিটাগংয়ের, যায় দুই ইনফর্ম ব্যাটারের উইকেট।
রিপনের অসাধারণ ওভারটির পর ফাহিম আশরাফ বোলিংয়ে এসে দুই উইকেট তুলে নেন। পারভেজ হোসেন ইমন এবং হায়দার আলীকে এক রানে বিদায় করেন তিনি। দুটি ক্যাচই লুফে নেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ইমন চতুর্থ স্টাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে ক্যাচ দেন, প্রায় একই কাজ করেন পাকিস্তানের হায়দার আলীও। চার ওভারের মধ্যে ৩১ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত চিটাগং। ফাহিমের এই ওভারে আসে মাত্র দুই রান। রিপনের দ্বিতীয় এবং ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আসে চার রান।
পাওয়ার প্লে 'র শেষ ওভারে শামীম পাটোয়ারিকেও বিদায় করেন ফাহিম আশরাফ। পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডারের প্রথম বলে থার্ড ম্যান অঞ্চলে চার মেরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শামীম। কিন্তু এক বল পরই উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ফাহিমের গুড লেংথের পঞ্চম স্টাম্পের বলে খোঁচা মারেন তিনি। তার ব্যাটে আসে ছয় বলে পাঁচ রান। ষষ্ঠ ওভারে আসে চার রান। পাওয়ার প্লে'তে পাঁচ উইকেটে ৩৯ রান করে চিটাগং। চলতি বিপিএলে পাওয়ার প্লে'তে এতো বেশি উইকেট হারায়নি কোনও দল। ৩৯ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর চিটাগং ১২১ রানে পৌঁছায় মিঠুন এবং সানির ব্যাটে।