‘বিদেশিরা সাপোর্ট করছে না, পরিবর্তন আনতেই হবে’
ছবি: সিলেটের বিদেশিরা যেন জ্বলেই উঠতে পারছেন না, ক্রিকফ্রেঞ্জি
বিপিএলে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে সিলেট। ষষ্ঠ ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ ছিল তাদের। তবে সেই ম্যাচে মানজি ও জোন্সের ধীরগতির ব্যাটিং হারিয়ে দিয়েছে আরিফুলদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাদের দুজনের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছিলেন জাকের আলী অনিক। সপ্তম ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি সিলেটের বিদেশিরা।
জোন্স-মানজির মাথায় কী চলছিল জানেন না জাকের
১৪ জানুয়ারি ২৫রাজশাহীর বিপক্ষে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন জাকির হাসান। আরেক ব্যাটার জাকের আউট হয়েছেন ৩১ রানে। অথচ এমন দিনে স্টার্লিং ৫ বলে ২, মানজি ২২ বলে ২০ এবং জোন্স করেছেন ৬ বলে ৫ রান। শুধু শেষ দুই ম্যাচেই নয় পুরো বিপিএল জুড়েই জ্বলে উঠতে পারেননি তাদের কেউ। সিলেটের হয়ে ৭ ম্যাচে দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৩৩ রান করেছেন মানজি।
৬ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের জোন্সের ব্যাট থেকে এসেছে ৯২ রান। সবচেয়ে বাজে সময় কাটানো আয়ারল্যান্ডের স্টার্লিং ৪ ম্যচে ২৪ রান করেছেন। চোটের কারণে তিন ম্যাচ খেলেই ছিটকে যাওয়া রাকিম কর্নওয়াল করেছেন ২২ রান। এমন পারফর্ম করা বিদেশিদের নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন আরিফুল। সিলেটের অধিনায়ক মনে করেন, মানজি-স্টার্লিংরা ভালো করতে না পারলে তারা ১৫০ রানও তাড়া করে জিততে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে আরিফুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই উইকেটে এই রান তাড়া করার মতো ছিল। কারণ দেখুন, আমাদের উপরের দিকে যে ব্যাটারগুলো আছে... আমাদের বিদেশিরা আমাদের পুরোপুরি সাপোর্ট করছে না। সবমিলিয়ে সাতটা ম্যাচ খেললাম, আমাদের দেশি ক্রিকেটাররাই পারফর্ম করেছে। আমাদের টপ অর্ডারে বেশিরভাগই বিদেশি ক্রিকেটার। তারা যদি সাপোর্ট না করে তাহলে ১৮০ কেন আমরা ১৫০ রানও তাড়া করতে পারব না।’
ভালো করতে না পারায় বিদেশি পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন আরিফুল। যা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলছেন সিলেটের অধিনায়ক। ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘এখন আমাদের কোটিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, দেখতে হবে কী অবস্থা। পরিবর্তন আসতে হবে, পরিবর্তন না আসলে হচ্ছে না। পরিবর্তন আনতে হবে।’
ম্যাচ জিততে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও ভালো করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিলেটের ক্ষেত্রে ঘটছে ভিন্নতা। বোলিং ভালো হলে, ব্যাটিং ভালো করতে পারছে না আবার কখনও কখনও ফিল্ডিংয়েও সুবিধা করতে পারছে না তারা। আরিফুল নিজেও স্বীকার করলেন এক সাথে তারা তিন বিভাগে জ্বলে উঠতে পারছেন না। সেই সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, টপ অর্ডার থেকে ভালো না করলে শেষের দিকে তাণ্ডব চালালেও ১২০ কিংবা ১৫০ রান করা সম্ভব না।
আরিফুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা কোনদিন হয়ত ব্যাটিং ভালো করছি, বোলিং খারাপ করছি। আমরা তিনটা জায়গাতে একই রকম পারফর্ম করতে পারছি না। আপনার টপ অর্ডারে যদি রান না হয় শেষের দিকে আপনি যতই মারেন না কেন ১২০ কিংবা ১৫০ রানই হবে, এর চেয়ে বেশি হবে না। সুতরাং টপ অর্ডার থেকে যদি ক্যারি করে নিচের ব্যাটার যারা থাকে তারা খুব সুন্দর ক্যারি করতে পারে। জেতার জন্য আমাদের তিনটা জায়গায় পারফর্ম করা দরকার, তিনটা জায়গায় একইভাবে খেলতে পারছি না।’