promotional_ad

খুলনার টানা ৪ হার, দুইয়ে চিটাগং

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
হেরেই চলেছে খুলনা টাইগার্স
প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে জিতলেও সবশেষ তিন ম্যাচে রান তাড়ায় হেরেছে খুলনা টাইগার্স। টস জিতে মেহেদী হাসান মিরাজ যখন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তখন ফারভেজ মাহরুফ খুলনার অধিনায়ককে পরিসংখ্যানটা মনে করিয়ে দিলেন। তবে মিরাজ জানান, তাদের নিজেদের উপর এখনও বিশ্বাস আছে। তবে সেটা মাঠের ক্রিকেটে প্রতিফলন হতে দেখা যায়নি।

promotional_ad

প্রত্যাশিত বোলিং করতে না পারায় গ্রাহাম ক্লার্ক তাদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছেন। ইংলিশ ব্যাটারের ১০১ রানের ইনিংসেই মূলত ২০০ রানের পুঁজি পায় চিটাগং কিংস। এমন লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে খুলনা। ম্যাচের কোন পর্যায়েই আশা দেখাতে পারেননি তাদের ব্যাটাররা। ফলে ২০ ওভার শেষে মিরাজদের থামতে হয় ১৫৫ রানে। খুলনাকে ৪৫ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠেছে চিটাগং।


আরো পড়ুন

শেষ ওভারে খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের

১২ জানুয়ারি ২৫
শেষ ওভারে খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের, ক্রিকফ্রেঞ্জি

জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেছেন বিপিএলে অভিষেক হওয়া ডমিনিক সিবলি। খালেদ আহমেদের স্লোয়ার ডেলিভারিতে লং অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ইংলিশ এই ওপেনার। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন ওয়াসিমের হাতে। তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন মিরাজ। 


খালেদের বলে চার মেরে রানের খাতা খোলা ডানহাতি ব্যাটারে পরের ওভারে আলিস আল ইসলামকেও মেরেছেন দুই চার। পরের ওভারে শরিফুল ইসলামকে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারার পর আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে মিঠুনকে ক্যাচ দিয়ে। ৮ বল খেলা মিরাজ করেছেন ১৯ রান। ওপেনার নাইম শেখ সুবিধা করে উঠতে পারেননি একটুও। ওয়াসিমের লেংথ ডেলিভারিতে বোলারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। 


ঠিকঠাক টাইমিং না হওয়ায় বল খানিকটা উপরে উঠে যায়। মিড অফ থেকে দৌড়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নেন আরাফাত সানি। নাইমকে ফিরতে হয় ৯ রানে। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর খুলনার হাল ধরার চেষ্টা করছিলেন আফিফ হোসেন। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি আলিস। ডানহাতি স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে খালেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২০ রান করা আফিফ। 


মাহফুজুর রহমান রাব্বিও ফিরেছেন দ্রুতই। খুলনার হয়ে বিপিএলে অভিষেক হওয়া তরুণ এই অলরাউন্ডার নিশ্চিতভাবেই দিনটা ভুলে যেতে চাইবেন। বল হাতে এক ওভারে চার ছক্কায় ২৭ রান দেয়া মাহফুজুর ব্যাটিংয়ে ফিরেছেন ২ রান করে। সানির বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর খুলনাকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন রাসূলি ও নাওয়াজ। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন সানি। 



promotional_ad

বাঁহাতি স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে ওয়াইড লং অন দিয়ে খেলতে গিয়ে ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৭ রান করা রাসূলি। ১৬তম ওভারে ফেরেন নাওয়াজও। খালেদের বলে ডিপ পয়েন্টের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ২৫ রানে। রান তোলার চাপে অঙ্কনও ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রানে থামে খুলনা। চিটাগংয়ের হয়ে আরাফাত সানি তিনটি এবং খালেদ, শরিফুল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।


আরো পড়ুন

সিলেটে ১৫০ টাকায় দেখা যাবে বিপিএল

৪ জানুয়ারি ২৫
ক্রিকফ্রেঞ্জি

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন উসমান খান। আবু হায়দারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়েছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। খুলনার ফিল্ডাররা আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে অঙ্কনের আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করে রিভিউ নেয় খুলনা। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল অঙ্কনের গ্লাভসে যাওয়ার আগে ব্যাটের নিচের কানায় ছুঁয়ে গেছে। 


দারুণ ছন্দে থাকা উসমানকে ফিরতে হয় মাত্র ১০ রানে। সবশেষ তিন ম্যাচের একটিতে সেঞ্চুরি এবং দুটিতে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তিনে নেমে পারভেজ ইমনকে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন ক্লার্ক। শুধু সঙ্গই দেননি বরং ইমনের চেয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলেছেন। শুরুর ধাক্কা সামলে আবু হায়দারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে ড্রাইভ করে চার মেরে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার। 


পঞ্চাশ ছুঁয়েই ব্যাট হাতে আরও আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠেন ক্লার্ক। অভিষিক্ত মাহফুজুরের ওভারের প্রথম তিন বলেই টানা তিন ছক্কা মেরেছেন তিনি। শেষ বলে ইমন ছক্কা মারলে সেই ওভার থেকে আসে ২৭ রান। এদিকে শুরু থেকে দেখেশুনে খেলা ইমন হাতখুলে খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট দিয়েছেন। নাওয়াজের লেংথ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায় আফিফের হাতে ক্যাচ দেন ২৯ বলে ৩৯ রান করা এই ওপেনার।


ইমন ফেরার একটু পর সালমান ইরশাদের স্লোয়ার ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি করেন ক্লার্ক। চলতি আসরে চিটাগংয়ের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এর আগে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন উসমান। যদিও একশ ছোঁয়ার ওভারেই ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে। সালমানের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১০১ রানে আউট হয়েছেন ইংলিশ এই ব্যাটার। 



ক্লার্ক ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারীও। ১৬ ওভারে ১৬৮ রান তুললেও শেষের দিকে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি চিটাগং। হায়দার আলী, ওয়াসিম জুনিয়র সবাই ফিরেছেন দ্রুতই। শেষ চার ওভারে ৩২ রান তোলে স্বাগতিকরা। তাতে ক্লার্কের সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। খুলনার হয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সালমান ও নাওয়াজ। 


সংক্ষিপ্ত স্কোর


চিটাগং কিংস- ২০০/৭ (২০ ওভার) (উসমান ১০, ইমন ৩৯, ক্লার্ক ১০১, শামীম ১৬; নাওয়াজ ৩/২৯, সালমান ৩/৩১)


খুলনা টাইগার্স- ১৫৫/৯ (২০ ওভার) (নাইম ৯, মিরাজ ১৯, আফিফ ২০, রাসূলি ৩৭, নাওয়াজ ২৫; সানি ৩/২৫, খালেদ ২/২৬, শরিফুল ২/৩০)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball