তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু বরিশালের
ছবি: দারুণ শট খেলার পথে তামিম ইকবাল, ক্রিকফ্রেঞ্জি
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবু জায়েদ রাহীর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। রাহীর অফ স্টাম্পেড়র বাইরে করা ফুল লেংথের ডেলিভারিটি ডাউন দ্যা উইকেটে খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন শান্ত। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি তানজিদ। তিন বলে দুই রানে ফিরে যান শান্ত।
ডেথ ওভার নিয়ে চিন্তায় বরিশাল
১৫ জানুয়ারি ২৫এরপর থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন তামিম এবং মালান। পাওয়ার প্লে'তে এক উইকেটে ৪৭ রান করে বরিশাল। ৩৮ বলে এই জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয়। ১২.২ ওভারে দলীয় শতরান পূরণ করে বরিশাল। তামিম ও মালানের দাপটে সেভাবে কোনও পরিকল্পনাই কাজে লাগাতে পারছিলেন না ঢাকার বোলাররা।
উল্টো প্রতি ওভারেই অতিরিক্ত রান দিতে থাকেন তারা। সবমিলিয়ে এই ম্যাচে ২০টি ওয়াইড দেন ঢাকার বোলাররা, যা এই আসরে দেয়া কোনও ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওয়াইড। তাদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ৭৬ বলে তামিম-মালান জুটি তুলে নেয় শতরান। ৪৪তম বলে চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
হাফ সেঞ্চুরির পর থিসারা পেরেরার একটি ওভারে চার-ছক্কা হাঁকান তামিম। সেই ওভার মালানসহ ১৩ রান নেন তারা দুজন। যদিও সেই ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তামিমকে বোল্ড করেন পেরেরা। ফেরার আগে ৪৮ বলে ৬১ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক।
১১৭ রানের এই জুটি ভাঙার পর আর কোনও উইকেট হারায়নি বরিশাল। ৪১ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন মালান। চার বলে দুই ছক্কায় ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন জাহানদাদ খান। এর আগে ব্যাটিংয়ের শুরুটা একেবারেই ভালো ছিল না ঢাকা ক্যাপিটালসের। পঞ্চম ওভারে রিপন মন্ডল ফেরান লিটন দাসকে। রিপনের শর্ট বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ১৭ বলে ১৩ রান করা লিটন। ৩১ রানে ভাঙে ঢাকার ওপেনিং জুটি।
জাকিরের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর সিলেটকে জেতালেন রনি-আরিফুলরা
১০ জানুয়ারি ২৫পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন মুনিম শাহরিয়ারও। এ দিন শূন্য রানে ফিরেন তিনি। ফাহিম আশরাফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বল অনেক উপরে তুলে দেন মুনিম। থার্ড ম্যান অঞ্চলে দৌড়ে এসে মাটিতে পড়ার আগমুহূর্তে ক্যাচটি লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাওয়ার প্লে শেষে ঢাকা করে দুই উইকেটে ৩৭ রান।
অষ্টম ওভারের মধ্যে ফিরে যান জিন পিয়ের কোয়েটজে, সাব্বির রহমান ও থিসারা পেরেরাকেও হারায় ঢাকা। তানভিরের একই ওভারে ফিরে যান ১০ রান করা সাব্বির এবং শূন্য রানে থাকা পেরেরা। ঢাকার সংগ্রহকে ১২০ পার করিয়ে তানজিদও ফিরে যান। ফাহিম আশরাফের অফ সাইডের বাইরের হার্ড লেংথের বলে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং গড়বর করেন তানজিদ। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকের মুঠোয় চলে যায়। ৪৪ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬২ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনার। শেষদিকে ষদিকে ফারমানুল্লাহ শাফির ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংসে ১৪০ রানের কাছাকাছি পৌঁছায় ঢাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা ক্যাপিটালস- ১৩৯/১০ (১৯.৩ ওভার) (তানজিদ ৬২, শাফি ২২; তানভির ৩/৩৯)।
ফরচুন বরিশাল- ১৪৫/২ (১৬ ওভার) (তামিম ৬১, মালান ৪৯*; পেরেরা ১/২৫)