২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবসর ভেঙে ক্ষমা চেয়ে ফিরলেন ইহসানউল্লাহ
ছবি: উইকেট উদযাপন করছেন ইহসানউল্লাহ, ফাইল ফটো
গতকালের আগের দিন পিএসএলের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি এই পেসারের ওপর। এরপরই অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। মূলত ইনজুরির কারণে বছরখানেক ব্রাত্য থাকার কারণে শেষমেশ অবসর নিয়ে নেন তিনি।
পিএসএলে দল না পেয়ে অবসরে ইহসানউল্লাহ
২৩ ঘন্টা আগেঅবসর থেকে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইহসানউল্লাহ বলেন, ‘আপনি জানেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আমাকে দলে নেয়নি। তাতে পরিবার ও সাধারণ সাধারণ মানুষের কথাতে আমি বিরক্ত হয়েছি। সে কারণে আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম। পিএসএলের এখনো ৪ মাস বাকি, আমি এ সময়ে কষ্ট করে যাব, আল্লাহ চাইলে যারা এখন আমাকে নেয়নি, তারা পরে দলে নিতে পারে। সুতরাং পিএসএল থেকে অবসরের কোনো পরিকল্পনা নেই। আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
‘আমি ধীরে ধীরে উন্নতি করার চেষ্টা করব। পিএসএল শুরু হতে অনেক সময় বাকি, কিছু ঘরোয়া টুর্নামেন্টও সামনে আছে। গতকালের রাতের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে ক্ষমা চাইছি। রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেছি।’
পিএসএলের অষ্টম আসরে ইহসানউল্লাহ ১২টি ম্যাচ খেলে ১৫.৭৭ গড়ে এবং ৭.৫৯ ইকোনমি রেটে ২২টি উইকেট নেন। ২০২৩ সালের এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজের সময় কনুইয়ে আঘাত পান এই পেসার।
পিএসএল খেলতে ইসিবির কাছে এনওসির স্পষ্টতা চান ইংলিশ ক্রিকেটাররা
১৪ জানুয়ারি ২৫এই ইনজুরি ইহসানউল্লাহকে কিছুটা দূরে ঠেলে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই পেসার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেন। চ্যাম্পিয়ন্স টি-টোয়েন্টি কাপে খেলে চার ম্যাচে দুই উইকেট নেন তিনি।
নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে ইহসানউল্লাহ ড্রাফটের রাতে বলেছিলেন, 'আমার অতীতের পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও আমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আপনি যদি পারফর্ম করেন তবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আপনার পিছনে আসবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।'
'আমি পিএসএল থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চাই না। আজকের পর এটা আমার জন্য শেষ। আমাকে আর পিএসএলে দেখা যাবে না। আমার লক্ষ্য এখন ঘরোয়া ক্রিকেটের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা, পিএসএলের মাধ্যমে নয়।'