শেষের ধসে রংপুরকে খুলনার জয় ‘উপহার’
ছবি: টানা সাত ম্যাচে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকল রংপুর রাইডার্স, ক্রিকফ্রেঞ্জি
এমন অবস্থায় শেষ ওভারে খুলনাকে ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে হতো। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা তৃতীয় ডেলিভারিতে নাওয়াজ রান আউট হয়ে ফিরলে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় খুলনার। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। হারতে থাকা ম্যাচে খুলনাকে ৮ রানে হারিয়ে নিজেদের শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখল রংপুর। সাত ম্যাচের সবকটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল তারা।
মেয়ার্সের শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন সোহান
৯ জানুয়ারি ২৫সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮৭ রান তাড়ায় খুলনাকে ভালো শুরু এনে দেন নাইম ও ডারউইশ রাসূলি। প্রথম তিন ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান তোলেন তারা দুজন। তবে চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসে জুটি ভাঙেন জাভেদ। বাঁহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১৭ রান করা রাসূলি। পাওয়ার প্লেতে আর কোন উইকেট হারায়নি খুলনা।
মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তোলে তারা। নাইম খানিকটা দেখেশুনে খেললেও মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন আক্রমণাত্বক। ষষ্ঠ ওভারে নাহিদ রানাকে টানা তিন বলে ছক্কা, চার ও ছক্কা মেরেছেন খুলনার অধিনায়ক। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন মিরাজ। ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
ডানহাতি পেসারের বলে আকিভকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ বলে ৩৯ রান করা মিরাজ। সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে দ্রুত রান তুলতে থাকেন নাইম। নাহিদের বলে চার মেরে ৩৬ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। শেখ মেহেদীর বলে লিডিং এজ হয়ে তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪১ বলে ৫৮ রান করা নাইম। এদিকে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন আফিফ হোসেন।
শেষ ওভারে খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের
১২ জানুয়ারি ২৫যদিও তাকে শেষ পর্যন্ত টিকতে দেননি মেহেদী। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ১৫ বলে ২৯ রান করা এই ব্যাটার। পরের ওভারে ফিরেছেন অঙ্কন ও ইমরুল। শেষ ওভারে আউট হয়েছেন নাওয়াজ, আবু হায়দার এবং নাসুম আহমেদ। খুলনা ১৭৯ রানে থামলে জয় তুলে নেয় রংপুর। তাদের হয়ে আকিফ তিনটি, মেহেদী ও সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্টিভেন টেলরের উইকেট হারায় রংপুর। তিনে নামা সাইফ হাসানও টিকতে পারেননি। দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি ব্যাটারকে ৭ রানে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ৩০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন তৌফিক খান তুষার ও ইফতিখার আহমেদ। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪০ রান। আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৩৬ রান করা তৌফিক।
ডানহাতি এই ওপেনার ফেরার পর রংপুরের হাল ধরেন পাকিস্তানের ইফতিখার ও খুশদিল শাহ। তাদের দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা। তাদের দুজনের ১১৫ রানের জুটি ভাঙেন হাসান। ৪৩ রানের ইনিংস খেলা ইফতিখারকে লেগ বিফোর উইকেট বানিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। শেষ ওভারে ফিরেছেন সোহানও। তবে ৩৫ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন খুশদিল। খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার ও হাসান।