প্রথম বলে ৬ মারার পর বিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল: সোহান
ছবি: নুরুল হাসান হাসান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
৪৫৭.১৪ স্ট্রাইক রেটে সাত বলে ৩২ রানের অপরাজিত টর্নেডো ইনিংস খেলেন রংপুরের 'ফিনিশার' সোহান। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জয় এনে দিয়ে ইনিংস খেলার মুহূর্তে কী চিন্তা করছিলেন সেটা জানিয়েছেন তিনি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তাকে অনুপ্রাণিত করেন পাকিস্তানের খুশদিল শাহ এবং পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।
১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৬৬ রানেই তিন উইকেট হারায় রংপুর। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন খুশদিল এবং ইফতিখার আহমেদ। দুজনই করেন ৪৮ রান করে। ইফতিখার খেলেন ৩৬ বল, খুশদিল খেলেন ২৪ বল।
ম্যাচ শেষে সোহান বলেন, ‘আগের ওভারে খুশদিল দুটি ছয় মেরেছিল। ও বলছিল, এই ম্যাচ জেতা সম্ভব। রাব্বি (কামরুল ইসলাম) ভাই এসেও বলেছিলেন, তুমিই খেলো ছয়টা বল। আমারও মনে হয়েছিল, ইনশা আল্লাহ মারতে পারলে হয়ে যাবে। এরপর দেখেন প্রথম বল ছয় হলো, তখন আস্তে আস্তে বিশ্বাসটা আরও বেড়েছে যে ইনশাআল্লাহ সম্ভব।’
শেষ বলে দুই রান লাগলেও সোহানের পরিকল্পনা ছিল বড় শটেরই, ‘শেষ বলে বড় শটের পরিকল্পনা ছিল। আমি চাচ্ছিলাম যে এক-দুই ওরকম কিছু না, যদি আমার জায়গায় বল পাই ওভার বাউন্ডারি মারব বা বাউন্ডারিই হোক। এটাই চাচ্ছিলাম।’
অ্যাডিলেডে ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশ দলকে জেতানোর সুযোগ ছিল সোহানের সামনে। ডিএল মেথডে ১৬ ওভারে ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করার ম্যাচে ১৪ বলে করেছিলেন অপরাজিত ২৫ রান করেন সোহান। শেষ ওভারে জয়ের ২০ রান লাগলেও সোহান এক ছক্কা আর এক চারে করেন ১৪।
সেই স্মৃতি স্মরণ করে সোহান বলেন, ‘এই ম্যাচটা জেতার পরও মনে হচ্ছিল, সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের ম্যাচ ছিল। এক ওভারে ২০ রানের মতো দরকার ছিল, আমি মনে হয় ১৫ বা ১৬ রান করেছিলাম। ম্যাচটা ৫ রানে হেরেছিলাম। যদি শেষ করতে পারতাম ভালো লাগত।’