promotional_ad

১২৬ রান তাড়ায় ৫৭ বল হাতে রেখেই জিতল বরিশাল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
১১৬ রানের জুটিতে ফরচুন বরিশালের জয় নিশ্চিত করেছেন কাইল মেয়ার্স (বামে), ও তাওহীদ হৃদয় (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি
১২৬ রান তাড়ায় ৬ রানে ২ উইকেট নেই ফরচুন বরিশালের। সিলেট স্ট্রাইকার্সের মতোই ব্যাটিং ধস নামবে এমন শঙ্কা তখন একটু একটু করে উঁকি দিচ্ছিল। তবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বরিশালের দুয়ারে এমন কিছু চাপতে দেননি কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের দুজনের বিপক্ষে সিলেটের বোলাররা যেন কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ১২৬ রানের লক্ষ্য বরিশাল পেরিয়ে গেছে ৯.৩ ওভার বাকি থাকতেই। সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

promotional_ad

সিলেটে জয়ের জন্য ১২৬ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। অফ স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটকিপার জাকির হাসানের গ্লাভসে। আগের ম্যাচে ‍দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস খেলা তামিম এবার ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। 


পরের ওভারে আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বাঁহাতি ওপেনার ছিলেন না আগের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে। সিলেটের বিপক্ষে একাদশে ফিরলেও ব্যাট জ্বলে উঠতে পারেননি শান্ত। তানজিম হাসান সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে চার মেরে রানের খাতা খুললেও আউট হয়েছেন তাঁর বলেই। 


ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে হুক করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে জাকিরকে ক্যাচ দিয়েছেন ৪ রানে। মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেয়ার্স ও হৃদয়। তাদের দুজনের ১১৬ রানের জুটিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বরিশাল। মেয়ার্স ৫৯ রানে অপরাজিত থাকলেও হৃদয় আউট হয়েছেন ৪৭ রানে। এদিকে রংপুরের বিপক্ষে হারলেও বাকি তিন ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।


promotional_ad

টস হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। সবশেষ দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেও বরিশালের বিপক্ষে ডাক মেরেছেন রনি তালুকদার। মেয়ার্সের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩০ গজের মাঝে তামিমকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। রনির বিদায়ের পর সিলেটের হয়ে হাল ধরেছিলেন কর্নওয়াল ও জাকির। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।


বাঁহাতি পেসারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৮ রান করা কর্নওয়াল। চারে নেমে ঝড় তোলেন জর্জ মানজি। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি খান জাহানদাদ। বাঁহাতি পেসারের স্লোয়ারে ওয়াইড লং অনে দাঁড়িয়ে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ বলে ২৮ রান করা মানজি। একই ওভারে আউট হয়েছেন অ্যারন জোন্স।


রিশাদ হোসেনকে সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন জাকির। বাঁহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন ২৫ রান। আগের ম্যাচে ৪০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা জাকের আলী অনিক এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ দিকে টেইলএন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে সিলেটের রান একশ পার করেন আরিফুল হক। সিলেটের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। ফলে অল আউট হওয়ার আগে ১২৫ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-


সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১২৫/১০ (১৮.২ ওভার) (আরিফুল ৩৬, মানজি ২৮, জাকির ২৫; রিশাদ ৩/১৫, জাহানদাদ ৩/১৮)

ফরচুন বরিশাল- ১২৬/৩ (১০.৩ ওভার) (তামিম ০, শান্ত ৪, হৃদয় ৪৮, মেয়ার্স ৫৯*; তানজিম ২/৩৭)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball