টাকা না পেলেও প্রশ্ন তুলতে ‘না’ করছেন বিজয়
ছবি: প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন এনামুল হক বিজয়, ক্রিকফ্রেঞ্জি
চুক্তি অনুযায়ী পুরো টাকা না পেয়ে ক্রিকেটারদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) কাছে অভিযোগ করেছিলেন বিদেশিরা। গ্লোবাল সুপার লিগ খেলার সময় টস করতে এসে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে একই অভিযোগ তুলেছিলেন ইমরান তাহির। ২০১৮-১৯ বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়েও ঝামেলা পড়তে হয়েছিল।
২০১২ বিপিএলে খেলা বিদেশি ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বিসিবিকে তো মামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল ফিকা। দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক সমস্যা তো নিত্যদিনের সঙ্গীর মতো হয়ে গেছে। এবার অবশ্য টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী, বিপিএল শুরুর আগে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে তাদের পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ বুঝিয়ে দিতে হবে।
বাকি ৫০ শতাংশের মাঝে ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট চলাকালীন এবং শেষে কিস্তি বুঝিয়ে দিতে হবে বিপিএল শেষ হতেই। অথচ বিপিএল শুরু হলেও সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির কোন ক্রিকেটারই এখনও তাদের পারিশ্রমিকের এক টাকাও পাননি। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ও স্বীকার করেছেন টাকা না পাওয়ার কথা। তবে বিশ্ব দরবারে এমন খবর তুলে না ধরে সবাইকে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এ প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, ‘না! আমরা এখনও পাইনি। কেউই পায়নি। আমার মনে হয়, মাত্র শুরু হয়েছে বিপিএলটা। আমরা আসলে কোনো প্রশ্ন বা কোনো জটিলতা না তুলি। ক্রিকেটাররাও এটা চাই না। বিপিএলটা বিশ্বের সবাই দেখে। এরকম কোনো খবর না আসুক। বা আমাদের দেখতে না হোক বিশ্ব ক্রিকেটে পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে কোনো খবর আসছে। আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করি। একটা গোছালো পরিবেশ তৈরি হবে।’
‘আমাদের কিন্তু ড্রেসও এসেছে অনেক দেরিতে। অনেকের গিয়ারস (ক্রিকেটের সরঞ্জাম) এসেছে দেরিতে। তো বিপিএলটা আমরা ইতিবাচকভাবে নিতে চাই। অবশ্যই মালিকরা না দিয়ে তো যাবে না। বা বিসিবি তো এটার ব্যবস্থা করবে। আমরা অবশ্যই ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। হয়তো সময়সাপেক্ষের কারণে বিলম্ব হয়েছে। আশা করি, তারা যথাযথভাবে ব্যবস্থা করেছে।’