আগামী মাসের ৫ তারিখ থেকে মাঠে গড়াবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। আর আসন্ন প্রিমিয়ার লীগের প্লেয়ার বাই 'চয়েস' এর দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে চলতি মাসের ২০ তারিখ। 

প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেয়া প্রতিটি দলই ৫ জন করে পুরোনো ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। কিন্তু পুরাতন খেলোয়াড় ধরে রাখার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিয়ম কানুন। ‘এ প্লাস’ বা ‘এ’ ক্যাটাগরির কোন ক্রিকেটারকে রেখে দিতে পারবেনা দলগুলো।

আর ড্রাফটের আগে ১২জন ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করবে বিসিবি। যারা প্লেয়ার বাই চয়েসের জন্য উন্মুক্ত থাকবেন। সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম ক্লাব ও বিভাগভিত্তিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভার পর আজ জানিয়েছেন এসব তথ্য। তিনি জানান, 

‘আমাদের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান প্রিমিয়ার লিগের মতো মূল টুর্নামেন্টগুলো ক্রিকেট-মৌসুমের মাঝেই শেষ করতে বলেছেন। তবে আমাদের মাঠে স্বল্পতা আছে। সে কারণে জানুয়ারির ২৪ তারিখে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরই প্রিমিয়ার লিগ হবে।’ 

এছাড়াও প্রতিবারই খেলোয়াড়দের টাকা পয়সা পরিশোধ নিয়ে নানা ঝামেলা দেখা দেয় প্রিমিয়ার লীগ শেষে। তাই এবার ক্রিকেটারদের অর্থ পরিশোধ নিয়েও বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিবি। ক্লাবগুলো যেসকল ক্রিকেটারদের ধরে রাখবে তাদেরকে ড্রাফটের আগেই পাওনা টাকার ৫০ শতাংশ দিতে হবে।

অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে তারা ড্রাফটের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবেন। ড্রাফট থেকে নেওয়া ক্রিকেটারদের মোট টাকার ৫০ শতাংশ দিতে হবে ড্রাফটের পর বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মাঝে, ২৫ শতাংশ দিতে হবে টুর্নামেন্ট চলার সময়ে, বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর। 

তবে ড্রাফটের কোনও ক্রিকেটার নিজের ইচ্ছামতো ক্লাব বেছে নিতে পারবেন না। অর্থাৎ, যে ক্লাব যাকে দলে নেবে তাকে সেই দলের হয়েই প্রিমিয়ার লীগে খেলতে হবে। কাজী ইনাম আরও জানান,‘এখানে দুইটা বিষয় আছে। ২০১৬ মৌসুমে ক্রিকেটার ধরে রাখার এই পদ্ধতি ছিল, সেবার দুইজন ক্রিকেটার ধরে রাখা যেত।

সম্প্রতি আমরা বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে দেখেছি, দলগুলো বেশি ক্রিকেটার ধরে রাখছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। সব ক্লাবই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে, তারা সবাই বিশ্বাস করে, পাঁচজন ক্রিকেটার রাখতে পারলে তাদের স্কোয়াডে একটা ধারাবাহিকতা আসে।’