নাসিরের ডাবল সেঞ্চুরিতে ম্যাচ ড্র

ছবি:

জাতীয় লিগের ১৯তম আসরের শেষ রাউন্ডের প্রথম স্তরের ম্যাচে রংপুর ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। রংপুরের তারকা নাসির হোসেন যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন ততক্ষণই ম্যাচটিতে প্রাণ ছিল। আগের দিন যখন নাসির ২৭০ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন সবাই ভেবেছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রিপল সেঞ্চুরি হয়তো পেয়েই ফেলবেন এই অলরাউন্ডার।
কিন্তু চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের এক ঘন্টা পার না হতেই লিখন দে সঞ্জয়ের বলে ফজলে রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৯৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন নাসির। প্রথম শেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি এখন এই রংপুর তারকার দখলে।

২৯৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ৫১০ বল মোকাবেলা করেছেন নাসির। যেখানে ৩২ টি চারের মার ও ৩ টি ছয়ের মার ছিল। নাসিরের আউটের পরই ৭ উইকেটে ৬১৪ রান সংগ্রহ করে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। প্রথম ইনিংস শেষে ২৭৯ রানের লীড পায় রংপুর।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে বরিশাল। দুই ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ ও ফজলে রাব্বির ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৭৪ রান। ফজলে রাব্বি ৩৭ রান করে তানভীর হায়দারের বলে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
আরেক ওপেনার রাফসান ৩৫ রান করে সোহরাওয়ার্দী শুভর শিকার হয়েছেন সায়মনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তারপর, সালমান আহমেদের ৬১ ও মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত পঞ্চাশে বরিশাল চার উইকেটের বিনিময়ে ২১৭ করলে দু দলই ড্র মেনে নেয়।
রংপুরের হয়ে তানভীর হায়দার ২টি ও নাঈম ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী শুভ ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বরিশাল বিভাগের সংগ্রহ ছিল ৩৩৫ রান। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী ৯৯ রান করে ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।