বুলবুলকে কোচেরও 'সর্দার' বানালেন মাশরাফি!

ছবি:

শুধুমাত্র মাশরাফির ইচ্ছাতেই ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে তার দল লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের ডাইরেক্টর অফ কোচিং পদে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে মনোনীত করেছে রূপগঞ্জ। তবে মাশরাফির ইচ্ছা ছিল, বুলবুল যেন পুরো সময় কোচিং করান। তবে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে তাতে।
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের অন্যতম শীর্ষ কর্তা তারিকুল ইসলাম টিটো শুক্রবার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, "এবারের লিগে রূপগঞ্জের সাথে কাজ করবেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আমাদের সম্ভাব্য অধিনায়ক মাশরাফির ইচ্ছেতেই বুলবুলের সাথে কথা বলা।
মাশরাফিই বুলবুলকে কোচ হিসেবে পেতে আগ্রহী। তার ইচ্ছের কথা বলেই বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে প্রস্তাব দেয়া। আর বুলবুলও তা মেনে নিয়েছেন। আমরা সব দিক চিন্তা করেই স্থির করেছি বুলবুল ঠিক প্রথাগত কোচ বলতে যা বোঝায়, সে পদে থাকবেন না।

পুরোদস্তুর কোচিংও করবেন না। তার পক্ষে লিগ চলাকালিন দু'মাসের বেশি সময় থাকা সম্ভব নাও হতে পারে। এমন চিন্তায় তাকে ডিরেক্টর অফ কোচিং পদ দেয়া হয়েছে। তিনি সুযোগ সুবিধা মত এসে কোচিং প্ল্যান দিয়ে যাবেন। তার অধীনে স্পেশালিষ্ট কোচ থাকবেন। তারা তার দিক নির্দেশনায় কাজ করবেন।"
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে জাগোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাশরাফি জানিয়েছিলেন, "বুলবুল ভাই কিন্তু ক্রিকেটের আধুনিক কোচিং দর্শনের অনেকটাই আত্মস্থ করে ফেলেছেন। তার সাথে কথা বলে দেখেছি। ম্যান টু ম্যান কাকে কিভাবে টেকনিক্যালি সাউন্ড করা যায়।
বা কার দূর্বলতা ও ঘা কিভাবে সাড়ানো যায়; বুলবুল ভাইয়ের কাছে তার খুব ভালো দাওয়াই আছে। আমার মনে হয়, সময়ের প্রবাহতায় তিনি খুব ভাল কোচ হয়ে উঠেছেন। তার কোচিং দর্শন ও কলা কৌশলটাও বেশ ভাল।"
প্রসঙ্গত, এর আগেও ঢাকার ক্লাব কোচিং করিয়েছেন বুলবুল। ২০০৯ সালে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের কোচ থাকাকালীন অবস্থায় ঢাকা লিগ বিজয়ী হয়েছিল আবাহনী। এবার কোচের সর্দার হয়ে বুলবুলের কণ্ঠেও মাশরাফির কথা।
তিনি বলেন, "মাশরাফি আমার কথা বলেছে। বলতে পারেন, তার ইচ্ছেতেই আমার সাথে যোগাযোগ করেছে রূপগঞ্জ কর্মকর্তারা। তাই আমিও না করতে পারিনি। এবার চেষ্টা করবো লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের হয়ে কাজ করতে। তাদের সাথে আমার কথা-বার্তা হয়ে গেছে।
তবে যেহেতু আমি আইসিসিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করি, তাই পুরো সময় দিতে পারবো কিনা জানিনা । সে কারণেই হেড কোচের দায়িত্ব না নিয়ে ডাইরেক্টর অফ কোচিং পদটিই বেছে নেয়া।"