ফিটনেস ধরে রাখতে সপ্তাহে ৪ দিন শীতলক্ষ্যায়!

ছবি:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে যতজন দেশীয় তরুণ ক্রিকেটারের আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলা হোসেন আলী অন্যতম। পিঠের ব্যথার কারণে বিপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকে মাঠে নামা হয়নি এই বোলারের। তবে আসরে রাজশাহী কিংসের দ্বিতীয় ম্যাচেই সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামেন ডানহাতি এই পেসার।
প্রথম ম্যাচ থেকেই গতি আর সুইং দিয়ে মুগ্ধ করেছেন দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। অভিষেক বিপিএলেই চার ম্যাচ খেলে ৪ উইকেট শিকার করে নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন নরসিংদীর এই ক্রিকেটার। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে প্রথমবার খেলেই বেশ রোমাঞ্চিত তরুণ এই ক্রিকেটার।
মানবজমিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রথম বিপিএলের তাজা স্মৃতি বর্ণনা করেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে চিটাগাংয়ের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। তবে প্রথমবার বিপিএল খেলতে নেমে বড় বড় ব্যাটসম্যানদের সামনে বল করতে ভয় না পেলেও প্রথমদিকে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন বলে জানান এই বোলার। তাছাড়া বিপিএলে রাজশাহী কিংসের কোচ সারওয়ার ইমরানের সাথে কাজ করেও বেশ উচ্ছ্বসিত এই তরুণ।

হোসেন আলী জানান, 'সত্যি কথা বলি ভয় পাইনি। আমি রাজশাহীর হয়ে প্রথম ম্যাচই খেলতে পারতাম। কিন্তু পিঠে ব্যথা থাকায় পারিনি। আমাদের কোচ সারওয়ার ইমরান স্যার অনেক সহজেই আমার ভয় দূর করে দেন। তিনি দারুণ একজন কোচ। তবে যেহেতু এমন আসরে প্রথম তাই কী করবো কী করবো ভেবে নার্ভাস ছিলাম বেশ।'
তরুণ এই ক্রিকেটার বিপিএলে মাত্র চার ম্যাচ খেললেও গতি আর সুইংয়ে বেশ কয়েকবার বোকা বানিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। এমনকি ক্রিকেট পাড়ায় হোসেন আলীর গতি এবং সুইং বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তবে একজন পেসার হিসেবে এই গতি আর সুইং ধরে রাখার জন্য নিজের ফিটনেস ধরে রাখার বিষয়ে বেশ সচেতন এই পেসার। নিয়ম করে সপ্তাহে চার দিন শীতলক্ষ্যা নদীতে সাতার কাটেন বলেও জানান এই তরুণ।
তার ভাষায়, 'আমার অস্ত্র গতি আর আউট সুইং। দুটিই ধরে রাখতে চাই। এ জন্য আমি প্রতিদিন ঘোড়াশাল থেকে নরসিংদী স্টেডিয়ামে যাই। সেখানে জিম করে দুপুরে মাঠে ঘুমিয়ে বিকালে রানিং করে বাসায় আসি। আর সুইমিং করার জন্য বাসার কাছে শীতলক্ষ্যা নদীতে যাই চার দিন। নিজেকে ফিট রাখার জন্য সবই করি।'
পঞ্চম আসরের বিপিএলের অন্যতম আবিষ্কার তরুণ এই পেসার। গতি আর সুইং অস্ত্রে সজ্জিত ডানহাতি এই পেসার নিজেকে ফিট রেখে যদি এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে একটা সময় যে দেশের ক্রিকেটের সম্পদ হয়ে উঠবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।