জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলতি আসরের প্রথম রাউন্ডেই রংপুর বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মার্শাল আইয়ুব। ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলা ডানহাতি ব্যাটার পরের পাঁচ ইনিংসে পেয়েছিলেন মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি। তবে পঞ্চম রাউন্ডে এসে বরিশাল বিভাগের হয়ে সেঞ্চুরি পেলেন মার্শাল। বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন আশিকুর রহমান শিবলী। তাদের দুজনের ব্যাটে প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তুলেছে ঢাকা।
সাব্বির-রহিমের সেঞ্চুরি মিস, মুগ্ধর ৫ উইকেট
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন রাজশাহীর সাব্বির ও নাঈম আহমেদ। যদিও চতুর্থ ওভারেই ভাঙে তাদের দুজনের ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। মুগ্ধর বলে নবিনের ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৪ রান করা নাঈম। পরের বলে আউট হয়েছেন সাকিব শাহরিয়ার। একটু পর সাব্বির রহমানের উইকেটও নিয়েছেন মুগ্ধ। দ্রুতই তিন উইকেট নিয়ে রাজশাহীকে চাপে ফেলেন ডানহাতি এই পেসার।
৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া রাজশাহীকে টেনে তোলেন সাব্বির ও শাখির হোসেন শুভ্র। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন ডানহাতি এই ওপেনার। শাখিরের বিদায়ে ভাঙে সাব্বিরের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি। মুগ্ধর বলে আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ১৫ রান করেছেন তিনি। পরের ওভারে ফিরেছেন সাব্বির নিজেও। ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুনের বলে।
পরবর্তীতে রাজশাহীকে টেনেছেন রহিম। তাকে বেশ ভালোভাবে সঙ্গে দিয়েছেন ৭৮ বলে ৩৬ রান করা ওয়াসি সিদ্দিকী। ৭৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা রহিম আউট হয়েছেন ১২ চারে ৭৭ রান করে। রাজশাহীকে ২৬৮ রানে অল আউট করার দিনে মুগ্ধ পাঁচটি এবং আবু হাশিম দুইটি উইকেট নিয়েছেন। প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৩৭ রান তুলেছে রংপুর। জাহিদ জাভে ২৯ ও মামুন ৪ রানে অপরাজিত। প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর চেয়ে এখনো ২৩১ রানে অপরাজিত সফরকারীরা।
মার্শালের ২৮তম সেঞ্চুরি, আশিকুরের হাফ সেঞ্চুরি
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ঢাকা। দেখেশুনে খেললেও ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১৫ বলে ১ রান করে তৌহিদুল ইসলাম রাসেলের বলে বোল্ড হয়েছেন রনি তালুকদার। একটু পর আউট হয়েছেন জয়রাজ শেখ। পরের ওভারে ফিরেছেন আনিসুল ইসলাম ইমনও। ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ঢাকা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আশিকুর ও মার্শাল।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে মার্শাল হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭০ বলে। আরেক ব্যাটার আশিকুর পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ১১৯ বলে। তাদের দুজনের জমে ওঠা ১৩৫ রানের জুটি ভাঙে তৌহিদুল। ১৪২ বলে ৬৪ রান করে আউট হয়েছেন আশিকুর। দ্রুতই ফিরে গেছেন তাইবুর রহমান, সাকিল হোসেনরা। তবে শেষ বিকেলে ১৬৬ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৮তম সেঞ্চুরি করেন মার্শাল। শেষ পর্যন্ত ১১৮ রানে অপরাজিত আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। বরিশালের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন তৌহিদুল।