এদিন শাহানুর রহমানের সঙ্গে ষষ্ঠ জুটিতে ৯৫ রান যোগ করেন দিশাদ। ৩৯ রান করে শাহানুর ফিরে গেলেও পরের লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান দিশাদ। তিনি শেষ পর্যন্ত ১০ চার ও ১ ছক্কায় ২৬২ বলে ১৪১ রান করে যখন তিনি আউট হন রবিউল হকের বলে।
আর তাতেই হারের শঙ্কা দূর হয়ে যায় সিলেটের। রবিউল এদিন শিকার করেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরপর রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। পেসার রেজাউর রহমান রাজাই নেন দুই উইকেট।
এরপর আরও দুই উইকেট হারিয়েছে দলটি। তবে রংপুরের ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ৮৭ বলে ৪৩ রান করে নাটকীয় কিছু হতে দেননি। সঙ্গে অভিজ্ঞ নাইম ইসলাম ১৩৩ বল খেলে ৩৪ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করেন। তারা ম্যাচ শেষ করে ৪ উইকেটে ১১২ রান নিয়ে। এরপর ম্যাচ ড্র মেনে নেয় দুই দলই।
কক্সবাজারে এদিন ড্র হয়েছে ঢাকা বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগের ম্যাচও। শেষ দিন খেলা শুরু হওয়ার সময় দুই দলের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি। ফলে ম্যাচটি ড্রয়ের পথেই ছিল। শেষ দিন মার্শাল আইয়ুব ৭২ রান করে ফেরেন। ৩৮ রান করে আউট হন তাইবুর রহমান।
এরপর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন আনিসুল ইসলাম ইমন। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জেগেছিল তার। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ঢাকার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৮৮ রানে। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ ওভারে ময়মনসিংহ বিনা উইকেটে ৯৭ রান তুললে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।
৫৩ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন, ৫০ বলে ৪৪ রানে মোহাম্মাদ নাঈম শেখ। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৭৯ রানের পর বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ময়মনসিংহের শহিদুল ইসলাম।