মিরপুরে একদিনে নেই ১৩ উইকেট, বৃষ্টির পর ইবাদত-খালেদের দাপট

ঘরোয়া
মিরপুরে একদিনে নেই ১৩ উইকেট, বৃষ্টির পর ইবাদত-খালেদের দাপট
বিসিবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনা যেন ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও কালো মাটির স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) দেখা গেছে স্পিনারদের দাপট। নিহাদ উজ জামান ও এস এম মেহেরব হাসানের স্পিনে মাত্র ১২১ রানে অল আউট হয়েছে খুলনা। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীও হারায় তিন উইকেট। মিরপুরে একদিনেই পড়েছে ১৩ উইকেট। অন্য দিকে সিলেটে বৃষ্টির দাপটের দিনে চাপে ঢাকা বিভাগ।

মিরপুরে একদিনে নেই ১৩ উইকেট

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ফেরেন সৌম্য সরকার। একটু পর আউট হয়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। ১০ ওভারের মধ্যে ড্রেসিং রুমের পথে হেঁটেছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা। অমিত মজুমদার ও ইমরানুজ্জামান মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। যদিও তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি দূর এগোয়নি। ১৪ রানে ফেরেন অমিত। একটু পর ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে প্রথম রাউন্ডে খেলতে না পারা বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এনসিএলে ফিরে ২ রান করেছেন। লম্বা সময় টিকে থাকলেও ৭৩ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি ইমরানুজ্জামান। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তবে একটি করে ছক্কা ও চারে ৩১ বলে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শেষেরদিকে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। খুলনা অল আউট হয় ১২১ রানে। রাজশাহীর হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেরব ও নিহাদ।

খুলনাকে ১২১ রানে অল আউট করে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহীও। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান। টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার দিনে ২ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরবর্তীতে জুটি গড়ে বিপদ সামলানোর চেষ্টা সাব্বির হোসেন ও প্রিতম কুমার। ৩৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়েছেন সাব্বির। শেষ বিকেলে প্রিতম ‍ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে ৩ উইকেটে ৮৭ রান তোলে রাজশাহী। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে দিনের খেলা।

বৃষ্টির পর ইবাদত-খালেদের দাপট

বৃষ্টির কারণে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগ ও ঢাকার খেলা শুরু হয় দুপুর একটায়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদের আগুনঝরা বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন তারা দুজন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন রনি তালুকদার। পরের ওভারে আনিসুল ইসলামকে ফেরান খালেদ। দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন আশিকুর রহমান শিবলি ও জিসান আলম। যদিও তাদের দুজনের জুটি এগোয়নি বেশিক্ষণ।

খালেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৪ রান করা আশিকুর। প্রথম রাউন্ডে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা জিসান ইবাদতের বলে আউট হওয়ার আগে ২০ রান করেছেন। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মার্শাল আইয়ুব ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েন। ৭২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন মার্শাল। পরবর্তীতে তাইবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দিন পার করেছেন অঙ্কন। ১০১ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত তিনি। সিলেটের হয়ে ইবাদত তিনটি ও খালেদ দুইটি উইকেট নিয়েছেন।

আরো পড়ুন: এনসিএল