২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি পায় ময়মনসিংহ। বিভাগ হওয়ার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো এনসিএলে খেলার সুযোগ পায়নি তারা। কয়েক দফায় আশ্বাস দেয়া হলেও তাদেরকে যুক্ত করা হয়নি। তবে সবশেষ আগষ্টে দেশের বিভাগীয় চারদিনের টুর্নামেন্টে খেলার অনুমোদন পায় ময়মনসিংহ। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা মেট্রোকে সরিয়ে তাদের জায়গায় এনসিএল খেলবে তারা।
বিসিবির এমন ঘোষণার পরও ময়মনসিংহ খেলতে পারবে কিনা সেটা নিশ্চিত ছিল না। কারণ ঢাকা মেট্রোর ক্রিকেটারদের দাবি ছিল, তাদের যেন বাদ না দেয়া হয়। যদিও তাদের এমন দাবি মানেনি বিসিবি। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোকে বাদ দিয়ে এনসিএলে যুক্ত করা হয়েছে ময়মনসিংহকে। সবশেষ বোর্ড সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোর ক্রিকেটাররা ময়মনসিংহের হয়ে খেলবেন।
এনসিএলের ভেন্যু হিসেবে রয়েছে মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও আউটার মাঠ, রাজশাহীর বিভাগীয় স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠ, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই মাঠ।
কদিন আগেই আয়ারল্যান্ড সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে বিসিবি। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। পরের ম্যাচটি হবে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের আগে টেস্ট ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
শ্রীলঙ্কা সফরের পর থেকে টেস্টের বাইরে থাকায় ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির জন্য এনসিএলের প্রথম দুই রাউন্ড হবে কোকাবুরা বলে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি ও টেকনিক্যাল কমিটি মিলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃতীয় রাউন্ড থেকে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ হবে ডিউক বলে।