টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার ইমরানউজ্জামান এবং সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে দুজন করেন ৭১ রান। ৩০ বলে ৩৬ রান করে আরিফ আহমেদের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ইমরানউজ্জামান ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
কয়েক ওভার পর বিদায় নেন সৌম্যও। বাঁহাতি এই ওপেনার এদিন করেন ৩৩ বলে ৪৫ রান। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কা। এরপর বিজয় এবং আফিফের ব্যাটে ভর করে রান বাড়িয়ে নেয় খুলনা।
দুজনই সমানতালে ব্যাট চালাতে থাকেন। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান বিজয়। সৌম্যর মতো তিনিও হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। লং অনে ক্যাচ তোলার আগে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ২৬ বলে ৪৯ রান করেন।
আফিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৩৩ রান করে। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কার মার। মেট্রোর বোলারদের মধ্যে ৪৩ রান খরচায় দুই উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মাহফিজুল ইসলাম রবিনের উইকেট হারায় মেট্রো। তারপর ৫৯ রানের জুটি গড়েন নাইম শেখ এবং আনিসুল ইসলাম। এই জুটি উইকেটে থাকা পর্যন্তই ম্যাচে ছিল মেট্রো।
২৩ বলে ২৮ রান করা আনিসুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শেখ পারভেজ জীবন। এরপরের বলেই নাইম রান আউট হলে ৭০ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মেট্রো।
খানিকটা চেষ্টা করে দলকে একশ পার করালেও মাঠের লড়াইয়ে রাখতে পারেননি সাদমান ইসলাম এবং শামসুর রহমান শুভ। সাদমান ১২ বলে ১৭ এবং শামসুর ২০ বলে ২২ রান করে ফিরে গেলে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় দলটি। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর দারুণ বোলিংয়ের সামনে টিকেনি দলটির লোয়ার অর্ডার।
শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৪৯ রানে অল আউট হয় মেট্রো। খুলনার হয়ে ২২ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। ৩২ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন জীবন। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, জায়েদ উল্লাহ এবং রবিউল হক।