সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের ১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন মুবিন আহমেদ দিশান। পাওয়ার প্লে শেষের আগে আউট হয়েছেন জাকির হাসানও। সিলেটের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান। টিকে থাকলেও ভালো করতে পারেননি মিজানুর রহমান। মেহেদী হাসানের বলে ফেরার আগে করেছেন ২২ বলে ১৩ রান।
দলের রান পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আউট হয়েছেন রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ। পরবর্তীতে আসাদুল্লা আল গালিব ও অমিত মিলে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে ২৪ রান করা গালিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। দ্রুতই ফিরেছেন তাওহীদ হাসানও। ৩৯ রান করা অমিত ফিরলে শেষের দিকে রাজা ১৯ ও খালেদ ১২ রান করে সিলেটকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। বরিশালের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন পেসার মেহেদী।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই জাহিদুজ্জামানের উইকেট হারায় তারা। আসাদুল্লা আল গালিবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৪ বলে মাত্র ৩ রান করেছেন তিনি। আরেক ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফিতও সুবিধা করতে পারেননি।
গালিবের বলে অন সাইডে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন ফজলে রাব্বি। অভিজ্ঞ ব্যাটারের ডাকে সাড়াও দিয়েছিলেন ইফতেখার। তবে রাহাতুল ফেরদৌসের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় ৯ রান করা ব্যাটারকে। পরবর্তী জুটি গড়ে তোলেন ফজলে রাব্বি ও সালমান। তাদের দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন সালমান।
বরিশালের অধিনায়কের ৪ ছক্কায় ২১ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস থামিয়েছেন রেজাউর রহমান। ডানহাতি পেসারের বলে রাহাতুলকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তবে ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ফজলে রাব্বি। খালেদ আহমেদের বলে ফেরার আগে করেছেন ৬০ রান। বাকিদের কেউ সুবিধা করতে না পারায় ৮ উইকেটে ১৪১ রান তোলে বরিশাল। সিলেটের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন।