মিরাজের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের দাপুটে জয়

ঘরোয়া
মিরাজের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের দাপুটে জয়
সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে ২ উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পুরো ডিপিএল জুড়ে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করলেও তামিম ইকবালের অসুস্থতায় ওপেনিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খেলেছেন ১০৩ রানের ইনিংস। মিরাজের সেঞ্চুরির সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন রনি তালুকদার। তাদের দুজনের ব্যাটে শাইনপুুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রনির সঙ্গে ওপেনিংয়ে খেলতে নামেন মিরাজ। ফিল্ডিং করার সময় বুকে ব্যথা হওয়ায় ম্যাচ চলাকালীন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তামিম। হার্ট অ্যাটাক করায় মোহামেডান অধিনায়কের জায়গায় ওপেন করেছেন মিরাজ। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে সেটাকে বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। 

রনির সঙ্গে দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান তোলেন মিরাজ। তাদের দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা দুজন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মিরাজ। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৭২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন রনি। হাফ সেঞ্চুরির পর রান তোলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন মিরাজ। ১০ চার ও তিন ছক্কায় ৮১ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। ডিপিএলের চলতি আসরে মিরাজের এটি প্রথম সেঞ্চুরি। 

যদিও একশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। রাফি উজ জামান রাফির বলে আউট হয়েছেন ১০৩ রানের ইনিংস খেলে। মিরাজের বিদায়ে ভাঙে রনির সঙ্গে তার ১৬৪ রানের জুটি। একটু পর আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার রনিও। রহিম আহমেদের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন ৮৬ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। 

ভালো শুরু পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৩৩ বলে ২৭ রান করে অনিক সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রহিমের বলে। পরবর্তীতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১৮ ও নাসুম আহমেদ ১৩ রান করে মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করেছেন। শাইনপুকুরের হয়ে রহিম দুটি এবং রাফি নিয়েছেন একটি উইকেট।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২২৩ রানে অল আউট হয় শাইনপুকুর। অধিনায়ক রায়ান রাফসান রহমান সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। এ ছাড়া শরিফুল ইসলাম ৫৭ ও অনিক ২২ রান করেছেন। মোহামেডানের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়া মিরাজ, নাসুম ও সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

আরো পড়ুন: মেহেদী হাসান মিরাজ