টপ অর্ডারে ব্যর্থ লিটনরা, গুলশানকে জেতালেন নাইম-ইলিয়াস-ফরহাদরা

ছবি: গুলশানকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা ফরহাদ রেজা, রিমার্ক হারল্যান স্পোর্টস

২ ছক্কা ও চারটি চারে ৩৬ বলে খেললেন অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস। তবে ম্যাচ জেতাতে বোলার মেহেদী হাসান হয়ে উঠেছিলেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে। চারটি চারের সঙ্গে দুই ছক্কায় ১৭৭.৭৮ স্ট্রাইক রেটে মাত ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতালেন। ১০০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও মোহাম্মদ ইলিয়াস, নাইম ইসলাম, মেহেদী ও ফরহাদের ব্যাটে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে গুলশান।
নাহিদ–রিশাদরা পিএসএলে খেলুক, চাওয়া শান্তর
১৭ মার্চ ২৫
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হক মিলে ভালো শুরুই পেয়েছিলেন। বিশেষ করে জাওয়াদ ছিলেন শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক। তাদের দুজনের ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন সোহাগ গাজী। অভিজ্ঞ ডানহাতি স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন জাওয়াদ।
জায়গায় মতো শট খেললেও সেখানে ফিল্ডার থাকায় জায়েদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ১৭ বলে ৩০ রান করা জাওয়াদকে। আরেক ওপেনার আজিজুল তামিমও আউট হয়েছেন একই ওভারে। সোহাগ গাজীর অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন আজিজুল তামিম। গুলশানের অধিনায়ক ফিরেছেন মাত্র ১১ রানে।

সেখান থেকে গুলশানকে খুব বেশি দূর টানতে পারেননি ইফতেখার হোসেন ইফতি ও লিটন দাস। ১৬ রান করা ইফতিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সোহাগ গাজী। দলের রান একশ হওয়ার আগে ফিরে গেছেন হাবিবুর শেখ মুন্না। পরের ওভারে আউট হয়েছেন লিটনও। ৪০ বলে ৩৩ রান করা ডানহাতি ব্যাটারকে বিশালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন অলক কাপালি। ১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে গুলশান।
মোহামেডানকে চারে ঠেলে তিনে ইমরুলদের অগ্রণী ব্যাংক
২ ঘন্টা আগে
পরবর্তীতে ৯৯ রানের জুটি গড়ে গুলশানের বিপদ সামাল দেন নাইম ইসলাম ও মোহাম্মদ ইলিয়াস। ৬০ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলা নাইমের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। আরেক ব্যাটার ইলিয়াস আউট হয়েছেন ৬২ বলে ৫৩ রান করে। শেষের দিকে ফরহাদের অপরাজিত ৪৭ ও মেহেদী অপরাজিত ৩২ রানে জয় নিশ্চিত হয় গুলশানের। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মাহফিজুল ইসলাম রবিনের উইকেট হারালেও ব্রাদার্স ইউনিয়নকে বিপদে পড়তে দেননি বিশাল ও মিজানুর রহমান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১২৬ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৯ চার ও চারটি ছক্কায় ৭৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলা বিশাল ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। আরেক ব্যাটার মিজানুরও পেয়েছেন পঞ্চাশের দেখা।
৫৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলা মিজানুরকে ফিরিয়েছেন নিহাদ। চারে নেমে ব্রাদার্স ইউনিয়নের রান আড়াইশর কাছে নিয়ে গেছেন আইচ মোল্লা। ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৬১ বলে ৬৫ রান করেছেন তরুণ এই ব্যাটার। শেষের দিকে অলক কাপালি ২৯ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। গুলশানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন নিহাদ ও আসাদুজ্জামান পায়েল।