সাদমানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর হ্যাটট্রিক, হেরেই চলেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স

ছবি: ৭ বছর পর সেঞ্চুরি করে অগ্রণী ব্যাংককে জেতালেন সাদমান ইসলাম, রিমার্ক হারল্যান স্পোর্টস

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের ভিত গড়ে দেন সাদমান ইসলাম। ২০১৮ সালের পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পাওয়া সেঞ্চুরিতে বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানের ইনিংস খেলে। সাদমানের সেঞ্চুরির দিনে ৬২ রান করেছেন ইমরুল কায়েস। তাদের দুজনের এমন ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে অগ্রণী। সবশেষ তিন ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে তারা। বিপরীতি পাঁচ ম্যাচ খেলেও ডিপিএলে এখনও জয়ের দেখা পায়নি রূপগঞ্জ।
পারিশ্রমিকের প্রভাব পারফরম্যান্সে পড়বে না: সাদমান
২২ ফেব্রুয়ারি ২৫
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) চার নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৬১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন ইমরানুজ্জামান ও সাদমান। তাদের দুজনের ব্যাটে ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৪৬ রান তোলে অগ্রণী ব্যাংক। পরের ওভারের তৃতীয় বলে একেএম হুসনা হাবিব মেহেদীকে ছক্কা মেরে সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন ইমরানুজ্জামান। তবে পরের বলেই লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।

৫ চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করা ইমরানুজ্জামানের বিদায়ে ভাঙে সাদমানের সঙ্গে তার ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ইমরানুজ্জামান ফেরার পর সাদমানের সঙ্গে অগ্রণী ব্যাংককে টেনেছেন ইমরুল। ৮৬ রানের জুটি গড়ার সময়ে তারা দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। অধিনায়ক ইমরুল ৪২ বলে ও সাদমান পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫৭ বলে। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমরুল। বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মাহমুদুল হাসান।
লিটন-সাব্বির ব্যর্থ, জিতল গুলশান
৫ ঘন্টা আগে
অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৫৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে। চারে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অমিত হাসান। ৩০ বলে ১৫ রান করে আসাদুল্লার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদুলের বলে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। সবশেষ ২০১৮ সালে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ৭ বছর পর সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে সাদমান অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে। আরেক ব্যাটার মার্শাল আইয়ুব ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬০ রানে অল আউট হয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ বলে ৮১ রান করেছেন অমিত। এ ছাড়া আসাদুল্লা ৫৭, আরিফুল হক ৪০, আল আমিন জুনিয়র ৩২ রান করেছেন। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রুয়েল মিয়া ও তাইবুর রহমান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রবিউল হক, শুভাগত হোম ও আরিফ আহমেদ।