এপ্রিল-মে মাসে বিসিএল, টুর্নামেন্ট হবে গোলাপি বলে

ছবি: গোলাপি বলে বিসিএল

কয়েক বছর ধরে ডিসেম্বরে অর্থাৎ শীতের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির বিসিএল টুর্নামেন্ট। ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন সূচিতে বিসিএলকে সরিয়ে আনা হয়েছে এপ্রিল-মে মাসে। বিসিএলের পুরনো সময়ে আয়োজন করা হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। ডিসেম্বরে শীত থাকলেও এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশে গরমের দাপট বেশি।
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় জ্যোতি
২৩ ডিসেম্বর ২৪
এমন অবস্থায় তীব্র গরমে সারাদিন প্রথম শ্রেণির বিসিএল খেলা কঠিন হয়ে পড়বে ক্রিকেটারদের। ফ্লাডলাইট থাকা স্টেডিয়ামে চার দলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিবি। ফলে গোলাপি বলে চার দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। এমনটা হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গোলাপি বলের টেস্ট খেলতেও সুবিধা হবে তাদের। এ প্রসঙ্গে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম বলেন, ‘আমরা এটাকে (গোলাপি বলের বিসিএল) বিবেচনা করছি।’
‘টুর্নামেন্টটা যেহেতু মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে এজন্য আমরা ভিন্ন কিছু করতে চাই। ওই সময় গরম একটা আলাদা ফ্যাক্টর থাকবে। যেহেতু আমরা গোলাপি বল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই আমাদের এমন ভেন্যু লাগবে যেখানে ফ্লাডলাইট নিয়ে সমস্যা হবে না।’

২০১৯ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবারের মতো গোলাপি বলের টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। যদিও সেবার ভারতের পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি মুমিনুল হক, লিটন দাসরা। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলের ব্যবহার হয়েছিল ২০১২-১৩ বিসিএল মৌসুমে। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেবার নর্থ জোনের বিপক্ষে খেলেছিল সেন্ট্রাল জোন।
তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং লিগের আড়ালে চলবে বিসিবির ‘ট্যালেন্ট হান্ট’
৮ মার্চ ২৫
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শেষ হওয়ার পরই মাঠে গড়াবে বিসিএলের এবারের আসর। ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলের ব্যবহারে ক্রিকেটারদের উন্নতি হবে বলে মনে করেন সোহেল ইসলাম। বিসিবির এই কোচ মনে করেন, দিবা-রাত্রির চার দিনের ম্যাচ খেলার ফলে ব্যাটাররা যেমন বলের চরিত্র বুঝতে পারবেন তেমনি বোলারদের সুইং কিংবা স্পিন করাতে কী করতে হবে সেটাও আগে থেকে ধারণা পাবেন।
এ প্রসঙ্গে সোহেল বলেন, ‘যতগুলো বল আছে লাল বল, সাদা বল তার মধ্যে গোলাপি বলে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ থাকে আমার কাছে মনে হয়। হঠাৎ করে গোলাপি বলে খেলতে গেলে যেন ওই চ্যালেঞ্জগুলো যাতে নিতে পারি। কিছুটা যেন ওই বলের চরিত্র যেন ব্যাটার বুঝতে পারে, বোলাররাও যেন বল কী পরিমাণ সুইং করছে বা স্পিন করতে গেলে কী করতে হবে। আমি যদি কিছু ম্যাচ খেলি তাহলে তো ভালো হবে নিশ্চই। এখান থেকে কিছু শিখতে পারব। এটা চিন্তা করেই করা।’
এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ইতিবাচক বিষয়। আপনি যখন ইংল্যান্ডে খেলবেন বা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলবেন তখন ডিউকে খেলবেন, ভারতের সঙ্গে যখন খেলবেন এটা এসজি বলে হবে। আবার আপনি যখন অন্য জায়গায় খেলবেন তখন কোকাবুরা বলে খেলা হয়। একেকটা বলের একেকটা ন্যাচার আছে ওইটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়া বা ওইটা সম্পর্কে জানাও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এগুলোর কথা মাথায় রেখেই এসব সাজানো।’