সাদিকুরের আক্ষেপ ও তোফায়েলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গাজীর জয়

ছবি: সাদিকুর রহমান ও তোফায়েল আহমে দিলে শত রানের জুটি গড়েছেন

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রথম রাউন্ডে বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে আউট হয়েছিলেন বিজয়। দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ থাকলেও জ্বলে ওঠেনি ডানহাতি ব্যাটারের ব্যাট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে রবিউল হকের লেগ সাইডের শর্ট ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বিজয়।
লিটন রান করবে এটাই স্বাভাবিক: সুজন
২ ঘন্টা আগে
রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয়ে গাজী গ্রুপের অধিনায়ককে। শুরুর ধাক্কা সামলে গাজী গ্রুপকে পথ দেখিয়েছেন সাদিকুর ও তোফায়েল। তারা দুজনে মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদিকুর। আরেক ব্যাটার তোফায়েল পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫৮ বলে। তাদের দুজনের ১০৭ রানের জুটি ভেঙেছেন রবিউল হক।
ডানহাতি পেসারের বলে অমিতের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬৪ বলে ৫২ রান করা তোফায়েল। পরবর্তীতে শামসুরকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন সাদিকুর। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ফিরতে হয় তাকে। রুয়েলের স্লোয়ার ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছে ৯৬ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলা সাদিকুর। দ্রুতই ফিরে গেছেন সালমান হোসেন ইমন। ৭৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হয়েছেন শামসুর। তবে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় অগ্রণী ব্যাংক। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইনেই যেতে পারেননি ইমরানুজ্জামান। উইকেটকিপার ব্যাটারকে ফিরতে হয়েছে রানের খাতা খোলার আগেই। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ফিরেছেন একটু পরই। ১১ বলে ২ রান করা সাদমানের উইকেট নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ।

ডানহাতি পেসারের লেংথে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে সাদমানকে বিদায় করেছেন সাদিকুর রহমান। ১০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন ইমরুল ও অমিত। তারা দুজনে মিলে অগ্রণী ব্যাংকের শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। আবু হাসিমের বলে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে ৬০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি।
অমিত-ইমরানুজ্জামানের জুটির সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর জয়
৪ ঘন্টা আগে
একই ওভারে অবশ্য ইমরুলের উইকেট তুলে নিয়েছেন হাসিম। বাঁহাতি স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ওয়াসি সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। অমিতের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়ে ৫০ রানে থামতে হয় ইমরুলকে। অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ক ফেরার পর তাইবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন অমিত। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনিও।
ওয়াসির লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে ৬২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। তাইবুরের সঙ্গে তার ৬১ রানের জুটি ভাঙেন শামসুর। ডানহাতি স্পিনারের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৫ বলে ২৭ রান করা তাইবুর। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে একটু পর আউট হয়েছেন অমিতও। তোফায়েলের বলে মিড অফের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। দারুণ ব্যাটিং করলেও ১১১ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন অমিত।
মার্শাল আইয়ুবও একটু পরই আউট হয়েছেন। শেষের দিকে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি শুভাগত, নাঈম হাসানের কেউই। ফলে কয়েক ওভার বাকি থাকতেই ২১৬ রানে অল আউট হয় অগ্রণী ব্যাংক। গাজী গ্রুপের হয়ে আব্দুল গাফফার সাকলাইন তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ও তোফায়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব- ২১৬/১০ (৪৬.১ ওভার) (ইমরুল ৫০, অমিত ৮৯, তাইবুর ২৭; গাফফার ৩/৩৫)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স- ২২০/৬ (৪৭.৪ ওভার) (সাদিকুর ৮৯, তোফায়েল ৫২, শামসুর ৩৮; রবিউল ২/৩৩ )