রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে দেশের ক্রিকেটে আরও আগে থেকেই ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন সাকিব। বর্তমানে বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলা চলছে তার নামে। চলছে গ্রেফতারি পরোয়ানাও। তবুও সাকিবকে খেলাতে পারবেন বলে আশাবাদী বাদল।

আরো পড়ুন

ডিপিএল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিলেন সাকিব

৮ ঘন্টা আগে

তিনি বলেন, 'অবশ্যই (সাকিবকে পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী)। নাহলে আমরা নিবো কেন ওকে? আপনারা জানেন এই দলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সাকিব আল হাসান। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে, ও আমেরিকাতে ছিল। তো ঘরের ছেলে ঘরে আসতেছে, এটা সবচেয়ে বড় খবর। আমরা ক্রিকেটার সাকিবকে দলে নিয়েছি, রাজনীতিবিদ সাকিবকে নয়।'

'সাকিব একটা দেশের সম্পদ। আমরা চাই না সাকিব অচিরেই ঝরে যাক। সাকিব তার ক্যারিয়ার শুরুতে আমার সাথেই ছিল, এখনো সে আশা প্রকাশ করছে আমার সাথেই থাকবে। ঐক্য ও মতের ভিত্তিতে আমরা ক্রিকেটকে এক নম্বর ব্র্যান্ড কীভাবে বানানো যায় সেটা নিয়েই কাজ করব।'

মাসখানেক আগে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে দেশের মাটিতে টেস্টকে বিদায় জানানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন সাকিব। তবে তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ দলে দেখা যায়নি এই অলরাউন্ডারকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশ তিন ফরম্যাটে সিরিজ খেললেও সেখানে দেখা যায়নি সাকিবকে। এর আগে আফগানিস্তান সিরিজেও খেলেনি তিনি।

আরো পড়ুন

মার্চে আবার বোলিং পরীক্ষা দেবেন সাকিব

২২ ফেব্রুয়ারি ২৫

এমনকি এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগং কিংসের হয়ে খেলার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত খেলতে পারেননি সাকিব। উল্টো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইতোমধ্যেই অনেকগুলো মামলায় অভিযুক্ত করা হয় তাকে।

মাস ছয়েক আগে সারের হয়ে কাউন্টি খেলতে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন সাকিব। সেখানে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ করেন আম্পায়াররা। এরপর দুবার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেননি তিনি। শুধু 'ব্যাটার' হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডেও রাখেনি বিসিবির নির্বাচকরা।