‘দুবাইয়ের বাইরে খেললেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হতো’, একই মত গাভাস্কার-আকরামদের

ছবি: শিরোপা হাতে ভারতের উল্লাস, ফাইল ফটো

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ভারতকে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। একই ভেন্যুতে খেলার কারণে ভারতের সুবিধা বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর এ নিয়ে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিভ জাভেদও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের সূত্র ধরে ধারাভাষ্য কক্ষে এমন মন্তব্য করতে দেখা গেছে নাসের হুসেইন, মাইকেল আথারটনসহ অন্যান্য অভারতীয় ধারাভাষ্যকারদেরও। প্রায় একই সুরে মন্তব্য করেন সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার র্যাসি ভ্যান ডার ডাসেনও।
‘পাকিস্তানের ভয়ে শারজাহ থেকে পালিয়েছিলেন গাভাস্কার’
১০ মার্চ ২৫
অন্য সব দলকেই যেখানে ভেন্যু থেকে ভেন্যু, এমনকি শহর থেকে শহরে ছুটোছুটি করতে হয়েছে, ভারত সেখানে একই শহরে একই হোটেলে থেকে একই মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এসবের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ, পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে আইপিএল বর্জন করতে বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হকও। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোহিত শর্মা জানিয়েছিলেন, দুবাই ভারতের ঘরের মাঠ না। সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধার প্রশ্নই আসে না! এদিকে অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে গম্ভীর রীতিমতো একহাত নিয়েছিলেন সমালোচকদের। যদিও সরল স্বীকারোক্তিতে শামি জানান, একই মাঠে একটানা খেলতে পারাটা বাড়তি পাওয়া।

এবার এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গাভাস্কার বলেন, ‘এটা ভারতীয় দলের দুবাইয়ে খেলার প্রশ্ন নয়। প্রশ্নটা তারা কতটা ভালো খেলেছে। যদি তারা আলাদা ভেন্যুতে খেলত, তবু এটা করে দেখাত। (আইসিসি আয়োজিত সাদা বলের টুর্নামেন্টে) ওরা সর্বশেষ ২৩ ম্যাচের ২২টিতেই জিতেছে। এ সময়ে তারা ভিন্ন কন্ডিশনে, ভিন্ন পিচে খেলেছে। সেখানেও তো তারা জিতেছে। তাই আমি বলব, ভারতকে যদি (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির) পাঁচটা ম্যাচ দুবাইয়ের বাইরে খেলতে হতো, এর পরও ফল একই হতো। তারাই চ্যাম্পিয়ন হতো।’
‘টাকার জন্য ওয়াসিম-ওয়াকাররা সব করতে পারে’, দাবি রশিদের
৮ মার্চ ২৫
ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টস সেন্ট্রালের ‘ড্রেসিং রুম’ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামও গাভাস্কারের সুরে সুর মেলান, ‘ভারতের এই দলটা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) জিতত। হ্যাঁ, এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু একবার যখন ঠিক হয়েই গেছে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে, তখন আর কথা থাকতে পারে না। ওরা পাকিস্তানে খেললেও জিতত। ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ওরা কোনো ম্যাচ না হেরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্সও ট্রফিতে ওরা কোনো ম্যাচ হারেনি। যা দলের গভীরতা ও নেতৃত্বের দক্ষতার জানান দিয়েছে।’
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতে ভারত। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় দলটি। অজিদের হারিয়ে ফাইনাল তাদের প্রতিপক্ষ হয় নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও কিউইদের হারায় রোহিতের দল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটি ভারতের তৃতীয় শিরোপা।