২০২৪ সালে জুলাই-আগষ্টে হওয়া জুলাই অভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আসিফ। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। গত ১৬ মাসে দেশের ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সময়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে ফুটবলের। ক্রিকেটেও একটু একটু করে উন্নতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বেশ কিছু ভালো কাজ করলেও আসিফের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগও আছে। বিশেষ করে গত বিসিবি নির্বাচনে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নির্বাচন করতে আগ্রহী করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া ওই সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকায় ক্ষমতার অপব্যহারও করেছেন বলে গুঞ্জন আছে। পদত্যাগের আগে সংবাদ সম্মেলনে কাজের ফিরিস্তি দিয়েছেন আসিফ।
গুঞ্জন ছিল, সংবাদ সম্মেলন থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ তখন বলেন, ‘এ (পদত্যাগ) বিষয়ে তাঁর কোনো কিছু বলার অনুমতি নেই। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে, প্রেস উইং থেকে যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও সন্ধ্যা নাগাদ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন আসিফ। বেশ কিছুদিন আগেই তিনি নিশ্চিত করেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। তবে কোন এলাকা কিংবা দল থেকে নির্বাচন করবেন সেটা এখনো খোলাসা করেননি আসিফ।
এদিকে তাঁর রেখে যাওয়া দুই মন্ত্রণালয়ের একটি পেয়েছেন আসিফ নজরুল। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি দায়িত্ব সামালাচ্ছেন আইন উপদেষ্টা হিসেবে। আরেকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আদিলুর রহমান খান। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সামলাবেন।