বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মঙ্গলবার পূর্বাচলে গিয়েছিলেন বিসিবি কর্মকর্তারা। সেখানে ছিলেন গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। তার সঙ্গে বিসিবির অপারেশন্স ম্যানেজার ও বয়সভিত্তিক বিভাগের প্রধান আসিফ আকবর ছিলেন। পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
মাটি চুরির ব্যাপারে তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের জন্য বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তদন্ত কমিটিতে তিনি নিজে যুক্ত থাকতে চান না। তাদের মধ্যে থেকেই কেউ এমন ঘঠনার সঙ্গে যুক্ত কিনা এমন সন্দেহও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তিনি।
তদন্ত কমিটির ব্যাপারে পাইলট বলেছেন, 'তদন্ত কমিটিটা করব নিউট্রাল একটা—এই কমিটিতে হয়তো একজন–দু’জন আমাদের ডিরেক্টর থাকবেন, আর বাইরের একজন–দু’জন থাকবেন যারা গোয়েন্দা সংস্থার লোক। আমি মনে করি, এমন মানুষ রাখব যারা এসব ধরনের কাজ করতে অভ্যস্ত। তো তিন সদস্যের একটা কমিটি করব—এটাই আমার পরিকল্পনা। আমি প্রেসিডেন্ট মহোদয়কে তা দেব এবং জানাবো যেন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে বিষয়টির তদন্ত করা হয়।'
বেশ কিছুদিন আগেই এই ব্যাপারে তারা জানতে পেরেছিলেন। এরপর তাদের পক্ষ থেকে কয়েকজন পূর্বাচল ঘুরে গেছেন। পুর্বাচলে প্রায় ২০ হাজার সেপটিকের মতো মাটি থাকার কথা ছিল। সেখানে তারা মাত্র সাড়ে ৭ হাজার সেপটিক মাটি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাইলট। এই ঘটনায় তিনি হতাশ।
পাইলট বলেন, 'এটা আমি শুনেছি এবং বেসিক্যালি আমাদের একটা টিম আসছিলেন। আমি যখন দায়িত্ব পাই তার আগ থেকেই আমি শুনছি যে এরকম একটা ঘটনা যে এখানে বেশ কিছু মাটি প্রায় ২০ হাজার সেফটি মত মাটি পূর্বাচলে পড়ার কথা এবং এখন যেটা দেখা আছে মেজারমেন্ট করে শোনা গেছে এবং আমি কাগজে যেটা দেখেছি সেটা হচ্ছে যে প্রায় সাড়ে সাত হাজার সেফটি মত মাটি আছে।'
