মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৯ রানেই বাংলাদেশ হারায় ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানের উইকেট। তিনি ২৭ রান করেই আউট হন। ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি আরেক ওপেনার জিসান আলম। যদিও দ্বিতীয় উইকেটে তিনি জাওয়াদ আবরারকে নিয়ে যোগ করেন ৩১ রান। আবরার এরপর অধিনায়ক আকবর আলীকে নিয়ে আরও যোগ করেন ২৮ রান।
ভালো শুরুর পর আবরার নিজেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি আউট হন ২৫ রান করে। আকবরও একই রানে আউট হয়েছেন। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। ৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শেষদিকে ইয়াসির আলী রাব্বি ও মেহরব হোসেন মিলে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেতে শেষ ওভারে ১৮ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের।
প্রথম বলেই রাব্বির সহজ ক্যাচ ছাড়েন আরাচিগে। পরের বলে ছক্কা মারেন মেহরব। তৃতীয় বলটি হয় ওয়াইড। বৈধ তৃতীয় বলে লেগ বাই থেকে আসে একরান। আর চতুর্থ বলে বাই থেকে বাংলাদেশ যোগ করে আরও এক রান। শেষ ২ বলে ৭ রানের সমীকরণের সামনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম বলে কোনো রান নিতে পারেননি রাব্বি। আর শেষ বলে হয়ে যান আউট। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। মেহরব ১৬ রান করে অপরাজিত থাকলেও রাব্বি আউট হয়ে যান ২০ রান করে।
এর আগে কাতারের দোহায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর আভাস দিলেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন আবু হায়দার। বাঁহাতি পেসারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন নিশান মাদুশকা। একই ওভারে ফিরেছেন আরেক ওপেনার ভিশেন হালামবাগে। ৭ বলে ১৩ রান করেছেন তরুণ এই ব্যাটার।
পাওয়ার প্লে শেষের আগে লাসিথ ক্রুসপুলের উইকেটও হারায় শ্রীলঙ্কা। ৯ বলে ৯ রান করেছেন তিনি। একটু পর আউট হয়েছেন নুয়ান্দো ফার্নান্দোও। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লঙ্কানরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন রমেশ মেন্ডিস ও আরাচিগে। তাদের দুজনের ব্যাটেই বিপদ সামাল দেয় তারা। মেন্ডিস ১৮ বলে ১৭ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি।
পরবর্তীতে ওয়েলালাগেকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে টেনেছেন আরাচিগে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে করেছেন হাফ সেঞ্চুরিও। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে ১৪ বলে ২৩ রান করেছেন ওয়েলালাগে। শেষ ওভারে আউট হয়েছেন ৪৯ বলে ৬৯ রান করা আরাচিগেও। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন ও আবু হায়দার।