এরপর আলোকস্বল্পতায় ম্যাচটি আর মাঠে গড়াতে পারেনি। ফলে ডিএল ম্যাথডে ৫ রানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। আফগানদের দেয়া মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের যুবাদের। ৭ বলে ১০ রান করেই ফিরে যান ওপেনার জাওয়াদ আবরার।
আর ৫ বল খেলে শূন্য রানে ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম। রিফাত বেগ এদিন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি ৩০ বলে ২৬ রান করে। দলীয় ৬০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারালে বাংলাদেশ বেশ চাপে পড়ে যায়।
সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকী। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন ১৩৯ রানের জুটি। আর তাতেই ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। কালাম এদিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। যদিও সেঞ্চুরির পর ১১৯ বলে ১০১ রান করে ফিরে যান তিনি। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ১১টি চারের মার।
সঙ্গী ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে বাংলাদেশকে জয়ের পথে রাখেন রিজান। তিনি ৯৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। ১৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। তারা দুজনে পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৩২ রান করে।
আফগানিস্তানের হয়ে একাই ২ উইকেট নেন এদিন ডানহাতি পেসার ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান। তার পাশাপাশি একটি করে উইকেট নেন নসরতউল্লাহ নুরিস্তানি ও জয়তুল্লাহ শাহীন। এর আগে উজাইরউল্লাহ নিয়াজির ১৩৭ বলে ১৪০ রানের অপরাজিত ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে আফগানিস্তান।
দলটির বাকি ব্যাটারদের মধ্যে দুজন কেবল ত্রিশের কোটা পার হতে পেরেছেন। ৩৩ বলে ৩৪ রান করেছেন খালিদ আহমদজাই। আর ৪৬ বলে ৩৩ রান করেছেন খান আহমদজাই। এর বাইরে দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন কেবল দুজন ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ যুবাদের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন। দুটি উইকেট নেন রিজান, একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ সবুজ ও তামিম।