ফাইনালে ১৫ বলে ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে রংপুরের ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন আকবর। পাশাপাশি টুর্নামেন্ট জুড়ে ৯ ইনিংসে ২২২ রান করে টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন তিনি। কোনো হাফ সেঞ্চুরি না পেলেও তিনি দুটি চল্লিশ পেরুনো ইনিংস খেলেছেন।
ম্যাচ শেষে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রংপুরের অভিজ্ঞ ব্যাটার নাইম ইসলাম। তার চাওয়া শুধু এনসিএল বা ঘরোয়া ক্রিকেটেই যেন আকবরের সাফল্য থেমে না থাকে। আকবরের হাত ধরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতুক সেটাই চাওয়া নাইমের। ম্যাচ শেষে এমন প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন তিনি।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নাইম বলেন, 'ও খুব ঠান্ডা মাথার একটা ছেলে। সবসময় ওর মধ্যে উত্তেজনা কম থাকে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে—আমি বলব, এটা ওর সবচেয়ে ভালো গুণ। তবে আমি বলব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা আকবরকে শুধু এনসিএল বা ফার্স্ট ক্লাস চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যে সীমাবদ্ধ দেখতে চাই না। আমি চাই, সে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাক, সেখানে পারফর্ম করুক এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ট্রফি এনে দিক—এইটাই আমি চাই।'
রংপুর থেকে বাংলাদেশের অনেক রথী মহারথী ক্রিকেটার উঠে এসেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত, নাইম শেখরা এখনও খেলছেন জাতীয় দলে। এক সময় লাল সবুজ জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাসির হোসেন ও তানভীর হায়দারের মতো ক্রিকেটার। বাংলাদেশের এক সময়ের অন্যতম বড় ভরসা ছিলেন নাইম নিজেও। তারা তরুণদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়ে যেতে চান।
সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়ে নাইম জানান, 'আমরাও চাইছি, আমরা থাকতে থাকতেই যেন রংপুর এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে আমাদের অভাবটা কেউ অনুভব না করে — এই জিনিসটাই আমরা চাইছি। সেই কারণেই সুযোগ ওদেরকে দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা যখন দেখলাম যে ওদের আরও একটু সময় দরকার, ওদের আরও একটু প্রস্তুত হতে হবে, তখন আমরা বুঝলাম যে আমরা যারা সিনিয়র, দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।'
নিজেদের ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে নাইম আরও যোগ করেন, 'আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড় যারা আছেন—নাসির হোসেন, তানভীর, আলাউদ্দিন বাবু—যেই হোক না কেন, সবাই সবাইকে আমরা সমর্থন করি। এখানে দলে খেলতে যখন আসছি, আমাদের ১৫ জন খেলোয়াড়ের সবার অগ্রাধিকার কিন্তু একই রকম। আমাদের দলে স্পষ্টভাবে বলা আছে, এখানে কে ছোট, কে বড়, কে কতদিন খেলছি বা কে খেলছি না—এসব কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। সবাই, প্রত্যেকে সমান গুরুত্বপূর্ণ।'