টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় রংপুর। দ্বিতীয় ওভারে সাত বলে পাঁচ রান করা জাহিদ জাভেদকে বোল্ড করে ফেরান মেহরব। সেই ওভারের শেষ বলে নাসির হোসেনকেও ফেরান মেহরব।
মেহরবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন দুই বলে দুই রান করা নাসির। পরের ওভারের প্রথম বলে আবারও উইকেট হারায় রংপুর। তাইজুল ইসলামের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পাঁচ রান করা অনিক সরকার।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার এক বল আগে ফিরে যান নাঈম ইসলামও (২০)। আসাদুজ্জামান পায়েলের বলে বোল্ড হন তিনি। তারপর আকবর আলী এবং ইকবাল হোসেনের ব্যাটে এগিয়ে চলে রংপুর।
দুজনে মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। ২০ বলে ২৮ রান করে অধিনায়ক আকবর আলী ফিরলে এই জুটি ভাঙে। তারপর রংপুরের আর কোনো ব্যাটার একেবারেই লড়তে পারেননি। একপাশ দিয়ে কেবল ইকবাল ৪৫ বলে ৫০ রান করেন। সাব্বির হোসেনের বলে প্রিতম কুমারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৯ রানে পাঁচ উইকেট হারায় রাজশাহী। শুরুতেই মুশফিক হাসানের বলে লং অফে ক্যাচ তুলে দেন সাব্বির হোসেন। দুই বলে এক রান আসে তার ব্যাটে। তারপর ১২ বলে দুই রান করা মিজানুর রহমানকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান আবু হাসিম।
পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে একে একে ফিরে যান হাবিবুর রহমান সোহান, মেহরব এবং প্রিতম কুমার। ১১ বলে ১৬ রান করা সোহানকেও এলবিডব্লিউ করেন আবু হাসিম। পরের বলেই আবু হাসিম বোল্ড করেন মেহরবকে। তার মতো শুন্য রানে ফেরেন প্রিতমও। প্রিতমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আবু হাসিম।
তারপর সাব্বির রহমান ৩৫ বলে ৩৫ রান করে রাজশাহীকে ম্যাচে ফেরান। শাকির হোসেন শুভ্রর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৭৪ রানের। সাব্বির ফেরার পর রাজশাহীকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান শুভ্র এবং নিহাদউজ্জামান। ৪২ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন শুভ্র, নিহাদ অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ২৭ রান করে।