ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না রাজ্জাক। নির্বাচকদের কাছ থেকে বঞ্চনার শিকার হওয়া নিয়ে অনেকবারই আক্ষেপ করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের পর থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ডাক পড়েনি তাঁর। তবে ২০১৮ সালে হুট করেই টেস্ট দলে সুযোগ মেলে বাঁহাতি স্পিনারের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই টেস্টে ৫ উইকেট নিলেও কদিন পরই বাদ পড়তে হয় তাকে।
ক্রিকেটার থাকা অবস্থায়ই ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক প্যানেলে সুযোগ পান রাজ্জাক। নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করতে অবশ্য পরবর্তীতে সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। সাজ্জাদ আহমেদ শিপনের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশারের সঙ্গে নির্বাচক প্যানেলে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এই স্পিনার।
এরপর নান্নু ও বাশার সরে গেলেও থেকে যান রাজ্জাক। এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ালেন নির্বাচকের পদ থেকে। রাজ্জাক জানিয়েছেন হুট করে এই সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তিনি। বিশেষ করে খুলনা বিভাগের অন্যান্য বিপক্ষে সংগঠক ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের চাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রাজ্জাক বলেন, 'যেহেতু খুলনা ডিভিশন থেকে আমাকে আসলে ডিভিশনের ওনারাই চেয়েছেন, যে কারণে আমার আরো মানে ডিসিশন নিতে সুবিধা হয়েছে। তো এটা প্রেসার-এর কিছু না। আর অবশ্যই যেহেতু এটা ইলেকশন, নামই কিন্তু ইলেকশন, তো আমাকে কিন্তু মেন্টালি ঐভাবেই আসতে হবে যে আসলে ইলেকশনই করতে হবে।'
দেশের ক্রিকেটের কথা ভেবেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্জাক। সেই কথা জানিয়ে সাবেক এই স্পিনার বলেন, 'আমি অনেক খেলছি, আমি অনেকদিন খেলছি। খেলায় যে কিছু কন্ট্রিবিউট করেছি, তারপর আমি সিলেক্টর ছিলাম, আমি চেষ্টা করছি যে সততার সঙ্গে যত কিছু করা যায়। তো এখন আমার মনে হচ্ছে তা ঠিক আছে, আরেক স্টেপ এগিয়ে গিয়ে যদি কিছু করার থাকে তো অবশ্যই আমি...'
নির্বাচনে অংশ নেয়ার ভাবনার কথা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন রাজ্জাক। তিনি বলেন, 'বলা খুবই মুশকিল যে আগে একেবারেই চিন্তা করিনি, আবার এটাও ঠিক না যে একদম আজকে এখন ডিসিশন নিয়ে নিয়ে নিলাম। এটা জাস্ট দুইভাবে চলছিল আমার মাথার মধ্যে যে আসলে কী করলে ভালো হয়।'
বাংলাদেশ কদিন পরেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবে। আসন্ন এই সিরিজের দল নির্বাচনেও ভূমিকা রেখেছেন রাজ্জাক। দলে কোনো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত এলে দুই নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এবং হাসিবুল হোসেন শান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, 'এখন তো ওনারা যারা ওনারা দুইজন আছেন, শান্ত ভাই নতুন ইনক্লুড হয়েছে, লিপু ভাই তো আছেনই। তো ওনারা ডিসিশন নিবেন যদি কোনো ডিসিশন নেওয়ার থাকে। আর যদি না থাকে তাহলে হয়তো আগে যে কথা হয়েছে সেই অনুযায়ী যাবে ওনারা।'