বাংলাদেশের জয়ে সাইমন ডুলের পাশ মার্ক

বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জয়ে সাইমন ডুলের পাশ মার্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
হংকং চায়নার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। ১৪৩ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ১৭.৪ ওভারে। ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতলেও লিটন দাস-তাওহীদ হৃদয়রা আরেকটা আগে জিতে নেট রান রেটটা বাড়িয়ে নিতে পারতো কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সাইমন ডুল অবশ্য বাংলাদেশকে পাশ মার্কই দিচ্ছেন। নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটারের মতে, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য এত ভালো ছিল না।

এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগেই লিটন নিশ্চিত করেছিলেন তাদের কাছে জয়ই মূখ্য। রান রেট বাড়িয়ে নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে তখন নিজেদের পরিকল্পনা বদলাতেও পারে। হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে অধিনায়কের কথা স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে। প্রত্যাশার কাছাকাছি বোলিং করার পরও ইয়াসিম মুর্তজা ও নিজাকাত খানের ব্যাটে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় হংকং।

সেই লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুতই পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যার ফলে পাওয়ার প্লে শেষে দেখেশুনে খেলতে থাকেন লিটন ও হৃদয়। ৭ উইকেটের জয়ের দিনে বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১৭.৪ ওভারে গিয়ে। ফলে জিতলেও রান রেটে আফগানিস্তানের চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছেন লিটনরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে হংকংয়ের মতো তুলনামূলক দুর্বল শক্তির দলের বিপক্ষে আরও আগেই জেতা উচিত ছিল কিনা।

মাঝারি রান তাড়ায় পাওয়ার প্লে শেষে লিটন ও হৃদয়ের কাছ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের তাড়া দেখা না যাওয়ায় প্রশ্নটা উঠছে আরও বেশি। সাইমন ডুল অবশ্য তাদের এমন ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের জন্য উইকেটকে দায় দিচ্ছেন। নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক মনে করেন, আবু ধাবির উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং নির্ভর ছিল না। এজন্যই বাংলাদেশকে পার্শ মার্ক দিচ্ছেন।

ক্রিকবাজের ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় সাইমন ডুল বলেন, ‘বাংলাদেশ হয়ত আরেকটু আগেই শেষ করতে চাইতো। ভালো উইকেটে আপনি বলতেই পারেন ১৩-১৪ ওভারে তাড়া করে যায়। এটা পুরোপুরি ভালো উইকেট ছিল না। ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। এখন তাদেরকে অন্য একটি দলকে ভালোভাবে হারাতে হবে। বাংলাদেশের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে আমি পাশ মার্ক দিব।’

নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ৯৪ রানের জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। বড় জয়ের কারণ রশিদ খানদের নেট রান রেট +৪.৭০০। বিপরীতে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৭ উইকেট। তবে ১৪৩ রান তাড়ায় ১৭.৪ ওভার ব্যাটিং করায় বাংলাদেশের নেট রান রেট +১.০০১। অর্থাৎ আফগানদের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছেন লিটনরা। গ্রুপ অব ডেথে থাকায় সুপার ফোরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নেট রান রেট বড় ভূমিকা রাখবে।

সেরা চারে যেতে হলে আফগানিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ ভালোভাবে জিততে হবে বাংলাদেশকে। সাইমন ডুল মনে করেন, বাংলাদেশও আগে থেকেই জানতো নেট রান রেট প্রভাব রাখবে। তবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটারের ধারণা, বাংলাদেশ নেট রান রেটের দিকে না তাকিয়ে আফগান ও লঙ্কানদের সাথে জয় পাওয়ার ক্ষেত্রে মনোযোগ রাখছে।

সাইমন ‍ডুল বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা (বাংলাদেশ) এটা ভালো করেই জানে রান রেট একটা সময় প্রভাব রাখতে পারে। কিন্তু তারা এটাও জানে আমাদেরকে বড় দুই দলের একটাকে হারাতে হবে। আমাদের শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে, আফগানিস্তানকে হারাতে হবে। আমরা যদি তাদের কাউকেই না হারাতে পারি তাহলে রান রেট দিয়ে কী হবে।’

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ