অবশ্য সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলটি ডট দিলেও পরের দুই বলে টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেন পারভেজ হোসেন ইমন। আয়ুস শুক্লার করা দ্বিতীয় বলটিতে ড্রাইভ করে কাভার দিয়ে চার মারেন ইমন। পরের বলে ইন সাইড এজ হয়ে আরেকটি চার পান ইমন।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আয়ুসকে মারতে গিয়েই ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান ইমন। তানজিদ হাসান শুরু থেকেই একটু ধীরে খেলছিলেন। স্ট্রাইক রেট বাড়াতে গিয়ে তিনি আতিক ইকবালের ওপর চড়াও হতে যান। আর তাতেই ১৮ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশের এই ওপেনার। আতিকের বলে লফটেড ড্রাইভ খেলেছিলেন তানজিদ। তবে বল চলে যায় সোজা মিড অফে নিজাকাতের হাতে। ফলে ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশের এই ওপেনারকে।
বাকি সময়টা দেখে শুনে খেলেছেন তাওহীদ হৃদয় ও লিটন। এই দুজনের ৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছে। লিটন অবশ্য শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। ১৮তম ওভারে তিনি ইন সাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান ইকবালের বলে। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ১৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। হৃদয় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৩৫ রান করে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হংকংয়ের শুরুটা ভালো করতে দেননি তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই আনশুমান রাঠকে ফেরান তিনি। ডানহাতি পেসারের নিচু হওয়া লেংথ ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে ছুঁয়ে বল উইকেটকিপার লিটনের গ্লাভসবন্দী হলেও আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে আনশুমানকে ফেরায় বাংলাদেশ। তিনে নেমে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছেন বাবর হায়াত।
যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর। দুই উইকেট হারানোয় পাওয়ার প্লেতে ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি হংকং। তবে পাওয়ার প্লে শেষে জুটি গড়ে তোলেন জিসান আলী ও নিজাকাত খান। তাদের দুজনের ব্যাটেই এগিয়ে যেতে থাকে তারা। ইনিংসের ১২তম ওভারে এসে জুটি ভাঙেন তানজিম।
ডানহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে লং অনের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে মিড উইকেটে মুস্তাফিজকে ক্যাচ দিয়েছেন জিসান। ৩৪ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। পরবর্তীতে মুর্তজা ও নিজাকাত মিলে হংকংয়ের রান বাড়িয়েছেন। যদিও প্রত্যাশিতভাবে দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। ১৮তম ওভারে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন মুর্তজা। ২৮ রান করেছেন হংকংয়ের অধিনায়ক।
পরের ওভারে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা নিজাকাতকে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ডানহাতি লেগ স্পিনারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিমের হাতে। এক ছক্কা ও দুই চারে ৪০ বলে ৪২ রান করেছেন তিনি। পরের বলে কিঞ্চিত শাহকেও ফিরিয়েছেন রিশাদ। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানের পুঁজি পেয়েছে হংকং। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, রিশাদ ও তানজিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
হংকং চায়না- ১৪৩/৭ (২০ ওভার) (জিসান ৩০, বাবর ১৪, নিজাকাত ৪২, মুর্তজা ২৮)
বাংলাদেশ- ১৪৪/৩ (১৭.৪ ওভার) (ইমন ১৯, তানজিদ ১৪, লিটন ৫৯, হৃদয় ৩৫*)