বাংলাদেশও বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে, এশিয়া কাপ নিয়ে আর্নল্ড

ছবি: বাংলাদেশ দল ও রাসেল আর্নল্ড

সম্প্রতি ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) সঙ্গে আলাপকালে আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রাসেল আর্নল্ড। কথা বলেছেন আসন্ন এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনা ও গ্রুপ ‘বি’ তে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে।
বাংলাদেশকে ভয় না পাওয়ার কোনো কারণ দেখেন না তাসকিন
১৯ মিনিট আগে
আর্নল্ড মনে করেন কঠিন গ্রুপেই পড়েছে শ্রীলঙ্কা। যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও হংকংকে। তাই এশিয়া কাপে মাঠে নামার আগে লঙ্কানদের সতর্ক করে দিয়েছেন আর্নল্ড। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নজরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আর্নল্ড বলেন, 'আমার মনে হয় এটি সত্যিই কঠিন একটি গ্রুপ। হেলাফেলা করার মতো গ্রুপ এটি নয়। বিশেষ করে আফগানিস্তান প্রতিনিয়তই উন্নতি করছে। তাদের বোলিং সবসময়ই আলাদা ছিল। তাদের দলে রশিদ খানসহ আরও অনেক বোলার আছে, যারা বোলিং বৈচিত্র্যে ভরপুর। কিন্তু এখন তারা ভালো ব্যাটারও নিয়ে আসছে। পাওয়ার তো ছিলই, পাশাপাশি এমন ব্যাটার আছে যারা ইনিংস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে তারা এখন সর্বাঙ্গীণ হুমকি হয়ে উঠছে। ব্যাটিংয়ের এই আত্মবিশ্বাস তাদের বোলিংয়েও প্রভাব ফেলছে। এভাবে তারা বিশ্ব ক্রিকেটে ক্রমেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরের দিকে উঠছে। তাই আফগানিস্তানকে নজরে রাখতেই হবে।'
এরপর বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে আর্নল্ড বলেন, 'বাংলাদেশও যেকোনো পর্যায়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কা ২-১ এ বাংলাদেশর কাছে সিরিজ হেরেছে। তাই কাজটা সহজ হবে না। তবে আমার বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কা এবার আরও ভালো ক্রিকেট খেলবে। দলের ভেতরে এখন প্রত্যেকের ভূমিকা বোঝার চেষ্টা আছে, আছে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা। তাই আমি মনে করি এই গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানই পরবর্তী পর্বে যাবে।'
এশিয়া কাপে 'এ' গ্রুপে খেলবে ভারত। যেখানে পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। এই গ্রুপে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারত। তারা টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়নও। তাই তাদের পিছিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। ভারতের প্রশংসা করতে গিয়ে তাদের পরিসংখ্যানও টেনে এনেছেন আর্নল্ড।
তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় ভারত খুবই শক্ত অবস্থানে আছে। গত দুই বছরে আমি কিছু পরিসংখ্যান দেখছিলাম – ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে তারা মোট ৫৩টি (আসলে ৫৯টি) ম্যাচ খেলেছে এই ফরম্যাটে, আর এর মধ্যে তারা মাত্র ১০টিতে হেরেছে। দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবুও তাদের ফলাফল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং বরাবরই আধিপত্যপূর্ণ পারফরম্যান্স ছিল। তাই আমার মতে, তারা আসরের ফেভারিট দল।'