দারুণ বোলিংয়ের পর ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

ছবি: লিটন ও মুশফিক যখন ব্যাটিংয়ে

৪০১ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা অল আউট হয়েছে ৪৫৮ রানের মধ্যেই। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া নাইম ৪টি ও নাহিদ রানা ১ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। দলে প্রথম ইনিংস থেকেই শ্রীলঙ্কা লিড পায় ২১১ রানের।
আপনারা শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দেবেন, এটা আমি মানতে নারাজ: তাইজুল
১ ঘন্টা আগে
পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে রীতিমতো ধুঁকেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করা এনামুল হক বিজয় আউট হয়েছেন ১৯ রান করে। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ফেরেন ১২ রান করে। ৩১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
মুমিনুল ১৫ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। শান্তও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ১৯ রান করে ফিরে যান প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশ অধিনায়ক। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ফেরেন ২৬ রান করে। আর তাতেই বাংলাদেশের ইনিংস ধবংস্তুপে পরিণত হয়। সেখান থেকেই বাংলাদেশের ইনিংস হার এড়ানোর লড়াইয়ে ছিলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দিনের একদম শেষভাগে রত্নায়েকে আউট করেন মিরাজকে। ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। অবশ্য লিটন ১৩ রান করে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন। শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। লিটন চতুর্থ দিন শুরু করবেন নতুন সঙ্গী নিয়ে। ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১৫ রান।

এর আগে দুই উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ১৪৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাথুম নিশাঙ্কা দিনের তৃতীয় ওভারেই তুলে নেন দেড়শো। নিশাঙ্কাকে এরপর অবশ্য বেশিদূর এগোতে দেননি তাইজুল। তার টসড আপ ডেলিভারিতে এক্সট্রা কাভারে নিশাঙ্কা ক্যাচ দেন বিজয়ের হাতে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লের নিয়ম পরিবর্তন করল আইসিসি
৫ ঘন্টা আগে
তাইজুল এরপর ফেরাতে পারতেন জয়াসুরিয়াকেও। তবে আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে যান তিনি। তাইজুলের শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বল ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন জয়াসুরিয়া। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল লাগে প্যাডে। মেহেদী হাসান মিরাজের চাপাচাপিতে রিভিউ নেন শান্ত।
রিভিউতে দেখা যায় বলের এক তৃতীয়াংশ অফ স্টাম্প স্পর্শ করে যেন। ফলে আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে যান এই লঙ্কান ব্যাটার। খানিক বাদেই তাইজুল এলবিডব্লিউ করে আউট করেছেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কার নাইট ওয়াচম্যান প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে আউট করেছেন নাহিদ রানা।
এই পেসারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কায় উইকেট খরা কাটালেন নাহিদ। এই পেসার প্রথম টেস্টে ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও কোনো উইকেট পাননি। অবশেষে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি।
খানিক বাদে নাইমের আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ৪১ বলে ৩৩ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস। ৬ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা। বিরতি থেকেই ফিরেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন নাইম। তার করা ১০৫ তম ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হন অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা। ১৬ বলে ১১ রানে ফেরেন তিনি।
খানিক বাদে নাহিদ রানার বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দুই রান নিয়ে ৬০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশাল মেন্ডিস। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি থারিন্দু রাত্নায়েকে। তাকে আউট করেছেন তাইজুল ইসলাম। থারিন্দু রত্নায়েকে আউট হওয়ার পর মেন্ডিস একটু আক্রমণাত্বক খেলছেন। হাতে আর ২ উইকেট।
তার লক্ষ্য ছিল যত সম্ভব লিড বাড়িয়ে নেয়া। সেঞ্চুরিরও সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে তাইজুলের বলে দুই রান নিয়ে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ৮৭ বলে ৮৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর তাইজুল আসিথা ফার্নান্দোকে ফেরালে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে যায় ৪৫৮ রানে।