জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন নাসিরের, দুষলেন আগের নির্বাচকদের

ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন নাসির হোসেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

যদিও পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার কারণে আগের নির্বাচকদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন নাসির। সোমবার রূপগঞ্জের ম্যাচ শেষে নাসির জানিয়েছেন তিনি পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফিরতে চান আবার। সেই পারফরম্যান্স যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মূল্যায়ন করে তাহলে জাতীয় দলে ফিরবেন বলে আশাবাদী নাসির।
নাসিরের প্রত্যাবর্তনের দিনে গাজী ক্রিকেটার্সকে হারাল রূপগঞ্জ
৫ ঘন্টা আগে
তিনি বলেছেন, 'যারা ক্রিকেট খেলে, জাতীয় দলে খেলার জন্যই খেলে। আমিও স্বপ্ন দেখি। এটা বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে। যদি পারফর্ম করতে পারি, অবশ্যই জাতীয় দলে খেলতে পারব। আপনি পারফর্ম করলে সেটার মূল্যায়ন যদি ক্রিকেট বোর্ড করে, তাহলে আপনি পারফর্ম করতে পারবেন।'
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টেন লিগে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। বিস্তর তদন্তের পর জানা যায় আইফোন উপহার নেওয়াসহ বেশ কিছু আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন এই ক্রিকেটার।

তিনটি ধারায় গত বছরের জানুয়ারিতে নাসিরকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। দেড় বছরের মূল নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে। সব মিলিয়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। সেই নিষেধাজ্ঞা থেকেই মুক্ত হয়ে আবারও ক্রিকেটে ফিরলেন নাসির।
বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে মুম্বাইয়ের সাবেক কোচ
১ ঘন্টা আগে
নিষেধাজ্ঞার আগে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে নাসির বলেন, 'যদি দেখেন, যেবার আমি বিপিএল ভালো খেললাম, এরপর কিন্তু "এ" দল বা বাংলা টাইগার্স বা প্রস্তুতি ম্যাচ— কোথাও আমাকে ডাকেনি। তো আপনি যদি পারফর্ম করার পর এসব জায়গায় না ডাকে, তাহলে জাতীয় দলে কীভাবে খেলবেন? অবশ্যই স্বপ্ন দেখি জাতীয় দলে খেলার। এটা বিশ্বাস করি, পারফর্ম করলে অবশ্যই সুযোগ আসবে।'
২০২৩ বিপিএলে ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে আসলেই ভালো পাফরম্যান্স করেছিলেন নাসির। ১২ ম্যাচে ৪৫.৭৫ গড়ে ও ১২০ স্ট্রাইক রেটে ৩৬৬ রান নিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। সেই সঙ্গে বল হাতে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট। নাসিরের ধারণা নির্বাচকদের রোষানলে পড়ে অনেক ক্রিকেটারেরই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের নির্বাচকরা লম্বা সময় ধরে একই পদ আঁকড়ে ধরেছিলেন। সেক্ষেত্রে তারা তাদের অপছন্দের ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছেন বলে দাবি নাসিরের।
তিনি বলেন, 'আপনি যখন নির্বাচক প্যানেলে থাকবেন... যদি বাইরের দেশে দেখেন, দুই বছর পরপর নির্বাচক প্যানেল বদলায়। ধরুন, আমি নির্বাচক হিসেবে আছি। আমার চোখে কিন্তু সবাইকে সমান ভালো লাগবে না। এটাই স্বাভাবিক। দুই বছর পরপর বদলালে, আমার চোখে যাকে ভালো লাগত না, অন্য কারও চোখে তাকে ভালো লাগতেও পারে।'
'আপনি যদি এখন নয়-দশ বছর ধরে একই জায়গায় থাকেন, যাকে ভালো লাগবে না, তার তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেল প্রায়! আমি মনে করি, আমার ক্ষেত্রে এই জিনিসটা হয়েছে। আমি যদি পাঁচটা সুযোগ পাই, বাকিদেরও পাঁচটা সুযোগই পাওয়া উচিত। এমন না হয় যেন, ওরা ২০টা সুযোগ পেল, আমি পাঁচটা সুযোগ পেলাম।'