promotional_ad

স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন ছুঁয়েছে...

ট্রফি ভ্রমণের অংশ হিসেবে পদ্মা সেতুর পাশে বিশ্বকাপ ট্রফি, বিসিবি
“মন শুধু মন ছুঁয়েছে/ ও সেতো মুখ খুলেনি/ সুর শুধু সুর তুলেছে/ ভাষা তো দেয় নি।” তপন চৌধুরীর গলায় সোলসের সেই গানটা এখনও তরতাজা। আমাদের শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে গেছে। তবুও এই গানের মোহমায়া কাটেনি একটুও। প্রিয় মানুষের প্রতি আবেগ, মায়া, মমতা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশই যেন এই গান।

promotional_ad

আশির দশকের সেই গান প্রায় চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। পছন্দ করা মানুষের মনের সঙ্গে মন ছুঁয়ে গেলেও ভালোবাসার কথা বলতে না পারাই যেন গানের খানিকটা অংশ। এখনও নিস্তব্ধ রাতের প্রহরে ইউটিউবে গেলে অজান্তেই সামনে এসে উঁকি দেয় সোলসের মন ছুঁয়ে যাওয়া সেই গান।


আরো পড়ুন

কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম সরিয়ে নিলেন মাহমুদউল্লাহ, 'বি' ক্যাটাগরিতে মুশফিক

২ ঘন্টা আগে
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ, বিসিবি

প্রায়শই মনের সঙ্গে মনের ছুঁয়ে যাওয়ার গল্প শোনা যায়। পৃথিবীর সবকটা দিন কেবলই মনের সঙ্গে ছুঁয়ে যায় না। কখনও কখনও স্বপ্ন আমাদের স্বপ্নকে ছুঁয়ে যায়। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য স্বপ্নের মতোই ছিল। এখন অবশ্য এটা স্বপ্ন পেরিয়ে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। জীবনকে সঙ্গী করে যেখানে পদ্মার উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিতে হতো, সেখানে এখন জ্বলজ্বল করে জ্বলে সোডিয়াম লাইট।


এ যেন আমাদের স্বপ্ন পূরণের আলোকবর্তিকা। যা আমাদের নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে বিশ্ব দরবারে। স্বপ্নের সেই পদ্মার পাড়ে এদিন হাজির স্বপ্নের সোনালি ট্রফি। শুধু আমাদেরই কেন, এটা সবার স্বপ্নের। ১১ কেজি ওজনের ট্রফিকে নিজের করে পাওয়ার জন্য লড়াই হবে ১০ দেশের। প্রতিটি দেশ মুখিয়ে আছে বিশ্ব জয়ের, ট্রফি জয়ের আর স্বপ্ন জয়ের।



promotional_ad

ভারতে বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিশ্বভ্রমণ শুরু করেছে ৫০ ওভারের ক্রিকেট মহারণের ট্রফি। তারই অংশ হিসেবে সোমবার প্রথম প্রহরে ঢাকায় আনা হয় সোনালি সেই ট্রফি। আগে থেকেই জানানো হয়েছিল বিকেল তিনটে নাগাদ পদ্মা সেতুতে নিয়ে যাওয়া হবে এটি। আইসিসির চাওয়া অনুযায়ী দেশের উল্লেখযোগ্য কোন স্থানে এটির ফটোসেশান করা হয়।


বাংলাদেশের উল্লেখ্য বেশকটি জায়গার মাঝে এখন নিশ্চিতভাবেই সবার উপরে থাকবে পদ্মা সেতু। সেটা ভেবেই বেছে নেয়া হয় স্বপ্নের এই জায়গাকে। কদিন ধরেই দেশের দেশ জুড়ে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। ঢাকাতেও ব্যতিক্রম কিছু ঘটছে না। স্বপ্নের ট্রফি আসছে, দেখতে তাই তো সবার অপেক্ষার তর সইছিল না।


এদিন অবশ্য সাধারণ মানুষের দেখার কোন ব্যবস্থা ছিল না। তবে সংবাদকর্মীরা ছিলেন অনুমেয়ভাবেই। সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় হেলিকপ্টারে নেয়া সম্ভব হয়নি ট্রফি। শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা করা হয় সড়ক পথে। বেলা তিনটা নাগাদ ফটোসেশান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটা শেষ পর্যন্ত হয়েছে ঘণ্টাখানেক দেরিতে।



বেলা চারটা নাগাদ রাখা হয় নদীর বাঁধের কাছে পদ্ম সেতুর প্রথম পিলারের কাছে। এরপর সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে আইসিসি থেকে আসা কর্মীরা ছবি, ভিডিও নিয়েছেন নিজেদের পছন্দসই। তাতেই শেষ হয়নি বিশ্বকাপ ট্রফির পদ্ম সেতু দর্শন। সূর্য্য পশ্চিম আকাশে হেলে যখন গোধূলি লগ্ন উঁকি দিল, তখন একে একে আলো ছড়ালো সবকটি ল্যাম্পপোষ্ট।


সোডিয়াম আলো ছড়িয়ে পড়ল সবটা জুড়ে। আলোর ঝলকানিতে যেন চোখে ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা। পদ্মার ল্যাম্পপোষ্ট আলোকিত করে তুলল বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিকেও। এ যেন ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্ন ছুঁয়ে দিল আরও এক স্বপ্নকে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball