২০১৭ সালের কেলেঙ্কারির আদ্যোপান্ত

ছবি:

আজকের দিনটি শেষ হলেই নতুন আরেকটি বছরে পা রাখবে বিশ্ব। নানা আলোচিত সমালোচিত ঘটনা নিয়ে কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে ২০১৭ সালটি।
এবছরই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পা রাখার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ইতিহাস রচনার পাশাপাশি পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকেও সাদা পোশাকে ঘায়েল করে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয় টাইগাররা।
তবে এসকল অর্জনের পাশে কালো কালি লেপন করেছে বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনা। বিশেষ করে কয়েকটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারণে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আলোচিত হয়েছে অনেকবার। তেমনটি কিছু ঘটনা নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ-
এ বছরের এপ্রিলের দিকে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম কেলেঙ্কারির ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে। আর সেই ঘটনার জন্ম দেন লালমাটিয়া ক্রিকেট ক্লাব এবং ফেয়ার ফাইটার্সের দুই ক্রিকেটার সুজন মাহমুদ ও তাসনিম হাসান।
গত ১২ই এপ্রিল সিটি ক্লাব মাঠে এক্সিওম ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে লালমাটিয়া ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনিং বোলার সুজন মাহমুদ ৪ বলে ৯২ রান দেন। আর তাঁর প্রথম চার বলেই ম্যাচটি জিতে নেয় এক্সিওম ক্রিকেটার্স ক্লাব। এর আগে ১৪ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছিলো লালমাটিয়া ক্রিকেট ক্লাব।
পরবর্তীতে লালমাটিয়া ক্রিকেট ক্লাব অভিযোগ তুলেছিলো টস করার সময় তাদের অধিনায়ককে নাকি কয়েন দেখাননি আম্পায়ার। জানা গেছে দুই আম্পায়ারই পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করেছিলেন সেই ম্যাচে।
আর এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার সুজন মাত্র ৪টি বৈধ বল করে ম্যাচটি জিতিয়ে দেন এক্সিওমকে। এই ঘটনা বিশ্ব ক্রিকেটেও আলোড়ন ফেলে দেয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।
এই ঘটনার আগে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে আরেকটি বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন ফেয়ার ফাইটার্স স্পোর্টিং ক্লাবের বোলার তাসনিম হাসান। ইন্দিরা রোডের বিপক্ষে খেলতে নেমে ফেয়ার ফাইটার্স স্পোর্টিং ক্লাবের বোলার তাসনিম হাসান এই ঘটনার জন্ম দেন।
মূলত লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার সুজন মাহমুদের ৯২ রান দেয়ার পড়েই লাইম লাইটে আসে তাসনিম কান্ড। সেই ম্যাচে ৭ বলে মোট ৬৯ রান দিয়েছিলেন তাসনিম। এখানেও আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এই ঘটনা উঠে আসলে দুই বোলারকে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। আর লালমাটিয়া ও ফেয়ারফাইটার্স দল দুটিকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু ঘটনার মূল হোতা দুই আম্পায়ার আজিজুল বারী বাবু ও সামছুর রহমান জ্যাকিকে মাত্র ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। এ বছরের অন্যতম আলোচিত ছিল এই ঘটনাটি।
শততম টেস্ট ও রিয়াদ বিতর্ক-
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত মার্চে নিজেদের শততম টেস্টে অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু এই ম্যাচের স্কোয়াড নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। কেননা টাইগারদের স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছিলো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
পরবর্তীতে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচকেরা। কিন্তু সেসময় বেঁকে বসেন ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন রিয়াদকে দেশে পাঠানো হলে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি টোয়েন্টি খেলবেন না তিনিও। মাশরাফির প্রতিবাদেই এরপর রিয়াদকে যুক্ত করে ১৬ সদস্যের নতুন ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি থেকে মাশরাফির অবসর ঘোষণা-

এ বছর সবথেকে বেশি আলোচিত ঘটনা ছিলো আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজার আকস্মিক অবসর নেয়া। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে টস করতে নেমে হুট করে সকলে অবাক করে দিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
তার আগে নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে মাশরাফি জানান তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই অবসর নিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় বোর্ডের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তারা মাশরাফিকে টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে বলেছিলেন।
শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও ছিলেন মূল প্রভাবক। এই নিয়ে কম সমালোচনা এবং বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। মাশরাফির এই আকস্মিক অবসর মেনে নিতে পারেনি দেশের অগণিত ক্রিকেট ভক্তরাও। তাঁকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তারা। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি নড়াইল এক্সপ্রেস।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মুশফিক কথন-
এবছরেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছিলো অস্ট্রেলিয়া। তবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচেই অজিদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
এরপর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে গিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন স্বয়ং বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন সকলেই।
কেননা সেবার ব্যাটিংয়ের চার নম্বরে মমিনুল হকের পরিবর্তে পাঠানো হয়েছিলো নাসির হোসেনকে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান এই সমস্যাটি তাঁর নয়, বরং টিম ম্যানেজমেন্টের।
এক্ষেত্রে তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকেও পরোক্ষভাবে দায়ী করেছিলেন মুশি। আর তাঁর বক্তব্যের পরপরই তিনি চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন বিসিবির। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সরাসরি জানিয়ে দেন মূল সমস্যা মুশফিকের নিজেরই। তিনি বলেছিলেন,
'সমস্যাটা মুশফিকের। এছাড়া আমার কিছু বলার নেই। মাশরাফি ক্যাপ্টেন্সি করে না? সে তো এমন সমস্যা পড়ে না। সাকিব টি-টুয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন্সি করবে। আমি লিখে দিতে পারি সাকিবও এই সমস্যায় পড়বে না।'
শুধু তাই নয় ব্যাটিং অর্ডারের সিদ্ধান্তেও মুশফিকের হাত আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাপন বলেন, ' এই জিনিসগুলো ক্যাপ্টেনেরই সিদ্ধান্ত। কোচ বলেন আমরা বলেন আমরা বাইরে থেকে স্ট্রেটেজি দিতে পারি কিন্তু মূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার অথরিটি অধিনায়কের।'
সাকিবের টেস্ট থেকে দেড় মাসের ছুটি-
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আরেকটি বিতর্কের জন্ম দেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টেস্ট ফরম্যাট থেকে ছয় মাসের ছুটি চেয়ে বিসিবির কাছে আবেদন করেন তিনি।
তবে বিসিবি দেড় মাসের ছুটি মঞ্জুর করে তাঁর। ছুটির কারণ প্রসঙ্গে সাকিব জানিয়েছিলেন মূলত মানসিক এবং শারীরিক দুই দিক থেকে সতেজ থাকতেই টেস্ট থেকে কিছুদিনের জন্য নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছেন তিনি।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ঠিক আগে সাকিবের এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা থেমে থাকেনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে প্রোটিয়াদের মাটিতে রীতিমত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিলো বাংলাদেশ দলকে।
আর এই কারণে স্বভাবতই সাকিবের ছুটি নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। অনেকেরই মতামত ছিলো প্রোটিয়াদের মাটিতে খেলে এসে অবসর নিতে পারতেন টাইগার অলরাউন্ডার।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সমালোচিত মুশফিক-
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পচেফস্ট্রুম টেস্টে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টসে জেতার পরও বোলিং নেয়ার মাশুলও অবশ্য দিতে হয় বাংলাদেশকে।
মুশফিকের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ডিন এলগার এবং হাশিম আমলার জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩২০ রান করে ফলো অন এড়ালেও ম্যাচটি বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ।
ফাফ ডু প্লেসিসের দলের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয় টাইগারদের। এভাবে বিবর্ণভাবে পরাজয়ের পরই মুশফিকের টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক ভাবে সমালোচনা হয়।
কিন্তু এরপরেও ব্লুমফন্টেইনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক। আর সেই ম্যাচে এক ইনিংস এবং ২৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হতে হয় বাংলাদেশকে।
প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে একই ভুল কি করে করলেন মুশফিক? এই প্রশ্নের সম্মুখীন সংবাদ সম্মেলনে একাধিকবার হতে হয় টাইগার অধিনায়ককে। সেই বিতর্কের জবাবে মুশফিক সরাসরি দায় চাপান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর।
সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি জানিয়েছিলেন দলের ফিল্ডিং পজিশন পর্যন্ত নাকি কোচ ঠিক করে দেন! সংবাদ মাধ্যমে এভাবে প্রকাশ্যে কোচের সমালোচনা করায় বোর্ড কর্মকর্তাদের চক্ষুশূল হন মুশি। বিশেষ করে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ভীষণ ক্ষিপ্ত ছিলেন মুশফিকের প্রতি।
সেসময়েই ধারণা করা যাচ্ছিলো দ্রুতইই অধিনায়কত্ব হারাতে যাচ্ছেন মুশি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটাই হয়েছে। আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য মুশফিকের পরিবর্তে অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।
বিপিএল বিতর্ক-
প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) আসর জন্ম দিয়েছে নানা বিতর্কের। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের উইকেট এবং আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা হয়েছে সব থেকে বেশি। এবারের বিপিএলের ঢাকা পর্বে উইকেট ছিলো অনেকটাই একেবারেই বোলিং সহায়ক।
ফলে বেশ কিছু ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা রান পেতে গলদঘর্ম হয়েছেন। বিপিএলের মতো টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দর্শকেরা মূলত আসে ব্যাটসম্যানদের ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং দেখার জন্যই। কিন্তু সেখানে উইকেটের কল্যাণে সেই আনন্দ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হতে হয়েছে তাদের।
রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং কিউই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন ম্যাককালামও সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, এবারের বিপিএলে বাজে আম্পায়ারিং নিয়েও বড় ধরণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে গভর্নিং কাউন্সিলকে। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে ই বলা যায় জঘন্য আম্পায়ারিং দেখেছে এবারের বিপিএল। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধারাভাষ্যকার থেকে শুরু করে দেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও।
এনসিএলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু সাব্বির-
বছরের শেষের দিকে এসে নতুন করে বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন জাতীয় দলের হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) ২১শে ডিসেম্বর রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে এক কিশোর টাইগার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বললে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করেন সাব্বির।
এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ রেফারি এবং আম্পায়াররা অভিযোগ দায়ের করলে তাদেরকেও হুমকি দেন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাঁর ব্যাপারে তদন্ত করার ঘোষণা দেয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা সহ কয়েকটি ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে পারেন সাব্বির।