মিরপুরের উইকেট টি টোয়েন্টির অনুপুযুক্ত!

ছবি:

গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সময় থেকেই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, মিরপুর স্টেডিয়াম সংস্কার করার পর এখন পর্যন্ত মাঠের সবুজাভ আভা পুরোপুরি ফিরে আসেনি। তবে এরপরেও সেখানে পুরোদমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ম্যাচ।
শুধু আউটফিল্ডই নয়, মাঠের উইকেটের অবস্থাও যে তথৈবচ তা প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) আসরে। চলমান বিপিএল আসরের শুরু থেকেই শেরে বাংলার উইকেট বিরুপ আচরণ করে আসছে। উইকেটে কখনও দুই রকমের বাউন্স পাচ্ছেন বোলাররা, আবার কখনও আচমকা অস্বাভাবিক টার্নও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আর এই কারণে উইকেট বোলারদের জন্য সহায়ক হলেও ব্যাটসম্যানদের জন্য একেবারে মৃত্যুকূপের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেখানে দর্শকেরা ব্যাটসম্যানদের মারকাটারি ব্যাটিং দেখতেই স্টেডিয়ামে আসেন সেখানে লো স্কোরিং ম্যাচ দেখেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের।

মিরপুর স্টেডিয়ামের পুরোপুরি বিপরীত চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেখানকার উইকেট এতটাই ব্যাটিং সহায়ক যে বিপিএলের প্রায় প্রতি ম্যাচেই গড়ে ১৭০-১৮০ রানের মতো করতে সক্ষম হয়েছে দলগুলো।
কিন্তু মুদ্রার ঠিক উল্টো পিঠ যেন মিরপুর স্টেডিয়ামে। এখানে শত রানের কোটা পার করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তারকা সমৃদ্ধ দলগুলোকেও। ইতিমধ্যে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এখন পর্যন্ত ডাইনামাইটসের হয়ে বেশ ভালোই পারফর্ম করেছেন নারিন। ৯ ম্যাচে বল হাতে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ব্যাট হাতেও অবশ্য খুব একটা খারাপ করেননি তিনি। ৯ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৭৩ রান। তবে ব্যাটিংয়ের থেকে বোলিংটাকেই বেশি পছন্দ করেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। বললেন, 'আমি বোলিংই বেশি পছন্দ করি। তাছাড়া ঢাকার উইকেট স্পিনারদের জন্য মোটামুটি ভালো।'