তুষার ও মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরিতে দারুণ জবাব দক্ষিণাঞ্চলের

ছবি:

ব্যাট হাতে আবারো নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন জাতীয় দল থেকে দীর্ঘদিন ব্রাত্য তুষার ইমরান। চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ আসরে (বিসিএল) প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলতে নেমে ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে দারুণ একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি।
অবশ্য তুষার ছাড়াও ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। আর এই দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে ৮৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩১৮ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণাঞ্চল। ফলে পূর্বাঞ্চলের থেকে এখনও ২২৮ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
এদিন বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কুয়াশার কারণে বেশ দেরি করেই মাঠে নামে পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল।
৩ উইকেটে ১২৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ব্যাটসম্যান তুষার এবং মোসাদ্দেক। এই দুই ব্যাটসম্যানের ২১৮ রানের বিশাল জুটিতে দারুণভাবে এগিয়ে যেতে থাকে দক্ষিণাঞ্চল।
আর এই জুটি গড়ার পথে সৈকত ও তুষার দুইজনই তুলে নেন চলতি টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরির পর পরই খেই হারিয়ে ফেলেন তুষার (১০৫)। দলীয় ২৭৭ রানের মাথায় অলোক কাপালির বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে।

আর সঙ্গী হারিয়ে খুব বেশীক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি সৈকতও। মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে (২৮৮) নাজমুল অপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে সোহাগ গাজীর তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে এরপর ব্যাটিংয়ে যোগ দেন আল-আমিন (১৭) এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান (১৩)। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে পরবর্তীতে আর উইকেট না হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণাঞ্চল।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মমিনুল হকের অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরি এবং জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫৪৬ রানের পাহাড়সম রান দাঁড়া করায় ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। মমিনুল একাই করেন ২৫৮ রান। (আরও পড়ুন- মমিনুলের রেকর্ড ভাঙ্গা ইনিংসে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে পূর্বাঞ্চল)।
আর এরই সাথে নিজের ২৩৯ রানের পূর্বের সেরা ইনিংসটিকেও অতিক্রম করেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন মিমি। (আরও পড়ুন- মমিনুলের পাঁচ হাজার)।
মমিনুল ছাড়াও এদিন তরুণ ব্যাটসম্যান জাকিরের সংগ্রহ ১১৯ রান। এছাড়াও ইমতিয়াজ হোসেন ৩৩, লিটন কুমার দাস ২০ ইয়াসির আলী ৩৩ এবং সোহাগ গাজী ৩৫ রান করেন।
দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে সবথেকে সফল বোলার ছিলেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। খরুচে বোলিং করলেও ৬ উইকেট শিকার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আর ৪০.৫ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ১৭৮। আর ৯৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলার ছিলেন আরেক স্পিনার সানজামুল ইসলাম।
পূর্বাঞ্চলের ৫৪৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে আগের দিনই ৫৯ রান তুলতে গিয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিলো নুরুল হাসান সোহানের দক্ষিণাঞ্চল। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তুষার ইমরানের ব্যাটে আর উইকেট না হারিয়ে ১২৮ রানে দিন শেষ করতে সক্ষম হয় তারা।
গত দিন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং শাহরিয়ার নাফিস রান করেছিলেন যথাক্রমে ২৯ এবং ১৯। আর ওয়ান ডাউনে নামা মেহেদী হাসান আউট হয়েছেন ৯ রানে।