পারলেন না আশরাফুল

ছবি:

রাজশাহীতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ব্যাট হাতে ভালোই সূচনা করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কুয়াশার কারনে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হতে দেরি হয়েছিল। খেলা শুরু হলে আগের দিনে অপরাজিত ব্যাটসম্যান আশরাফুলকে হারিয়ে বসে ঢাকা মেট্রো।
রাজশাহীর বিপক্ষে চার উইকেটে ২১০ রানে দিনের খেলা শুরু করা ঢাকা মেট্রো দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আশরাফুলকে হারায়। ২২ রান দিন শুরু করে নামের পাশে রান যোগ করতে পারেনি তিনি।
ক্রিজে আছেন আরেক অভিজ্ঞ মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও উইকেট কিপার জাবিদ হোসাইন। এখন পর্যন্ত ৬৪ ওভারের খেলা হয়েছে। ছয় উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান নিয়েছে ঢাকা মেট্রো।
রাজশাহীর হয়ে তাইজুল ইসলাম সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া ফরহাদ রেজা ও শফিউল ইসলাম উইকেটের দেখা পেয়েছেন।

এর আগে টসে জিতে ঢাকা মেট্রোকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান রাজশাহীর অধিনায়ক জহুরুল। ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের জোড়া অর্ধশতকে ৪ উইকেটে ২১০ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ঢাকা মেট্রো।
শুরুটা অবশ্য ভালো ছিলো না ঢাকার। মাত্র ১৮ রানের মাথায় ওপেনার শামসুর রহমানকে মিজানুর রহমানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে রাজশাহীর হয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার শফিউল ইসলাম।
এরপর সৈকত আলী ও সাদমান ইসলামের ৪০ রানের জুটিতে কিছুটা বিপদ কাটিয়ে ওঠে ঢাকা। তবে ৫৮ রানের সময় সৈকতকে উইকেটরক্ষক জহুরুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন জাতীয় দলের স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
অবশ্য সৈকত ফিরলেও খুব একটা বিপদে পড়তে হয়নি মার্শাল আইয়ুবের দলটিকে। কেননা তৃতীয় উইকেটে এসে অধিনায়ক নিজেই ঢাকার ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন। সাদমানকে সাথে নিয়ে ৯৮ রানের বড় একটি জুটি গড়েন তিনি। এই জুটির মাধ্যমেই শত রানের কোটা পার হয় ঢাকা।
শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৫৬ রানের মাথায় তাইজুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৬৭ রান করতে সক্ষম হন মার্শাল। আর অধিনায়কের ফেরার পর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি দারুণ খেলতে থাকা ওপেনার সাদমানও।
৭৫ রান করে সেই তাইজুলের বলেই আউট হতে হয়েছে তাঁকে। এরপর অবশ্য মোহাম্মদ আশরাফুল এবং মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ব্যাটে আর কোনও উইকেট না হারিয়েই দিন শেষ করতে সক্ষম হয় ঢাকা মেট্রো।